Shreema Bhattacharya

বড় জালিয়াতির শিকার শ্রীমা! অভিনেত্রীর নাম করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

প্রযুক্তির সাহায্যে টাকার নয়-ছয়ের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। এ বার এমনই এক অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলেন শ্রীমা ভট্টাচার্য।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৪ ১৬:৫৬
Share:

শ্রীমা ভট্টাচার্য। ছবি: সংগৃহীত।

প্রযুক্তির মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে উন্নতির দিকে, আবার তার বেশ কিছু অন্ধকার দিকও রয়েছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই জালিয়াতেরা টাকা নয়-ছয় করে চলেছে ক্রমাগত। এ বার এমনই এক অভিজ্ঞতা হল অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্যের। বড় জালিয়াতির কবলে পড়লেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী।

Advertisement

শ্রীমার নাম করে তাঁরই পরিচিতদের থেকে টাকা চাওয়া হল এক ভুয়ো নম্বর থেকে। ঘটনা অভিনেত্রীর কান অবধি পৌঁছতেই তিনি সমাজমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। শ্রীমার পর পর শেয়ার করা স্ক্রিনশটে দেখা যাচ্ছে তাঁর পোষ্য সারমেয়দের ছুতোয় টাকা চেয়েছে সেই প্রতারক।

অভিনেত্রীর নাম করে সেই প্রতারক বিভিন্ন জনকে লিখে পাঠায়, “আমি কলকাতার টেলি অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্য বলছি। আপনার সঙ্গে যৌথ ভাবে একটি কাজ করার কথা বলতে পেরে আমি উত্তেজিত। কোকো নামে আমার এক পোষ্য কুকুর রয়েছে। ওর একটা সঙ্গী কুকুর ছিল, যার মৃত্যু হয়েছে। তাই কোকো এখন অবসাদে ভুগছে। ইউটিউবে আপনার ভিডিয়ো দেখলাম। ভাবছিলাম, আপনি যদি আমায় একটা কুকুর দেন যে কোকোর সঙ্গী হয়ে থাকবে। ওদের ছবি পোস্ট করে আপনাকেও আমি ট্যাগ করব। ফলে আপনার কাজেরও প্রচার হয়ে যাবে সমাজমাধ্যমে।” এই প্রস্তাব দিয়ে অর্থও চায় সেই প্রতারক।

Advertisement

সমাজমাধ্যমে শ্রীমা জানান, তাঁর দুই পোষ্যই সুস্থ আছে। বিষয়টি নিয়ে লেখেন, “নতুন জালিয়াতি। দয়া করে প্রতারকের কথায় বিশ্বাস করবেন না। এই ধরনের প্রতারণা থেকে দূরে থাকুন। কোকো, জুলি দু’জনই সুস্থ আছে, ভাল আছে।”

শ্রীমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ইনস্টাগ্রামে আমার পোষ্য সন্তান কোকোর একটা অ্যাকাউন্ট আছে। সেখানে এক জন ব্রিডার আমায় মেসেজ করে জানান, তাঁর কাছে আমার নাম করে কেউ হোয়াট্‌সঅ্যাপে মেসেজ করেছেন। আমি তাঁকে বলি বিষয়টিতে গুরুত্ব না দিতে। কয়েক দিন আগের ঘটনা এটা। কিন্তু আজ সকালে এই একই মেসেজ তিন- চার জনের কাছে যায়।”

শ্রীমা জানান, প্রতারকের কথা বিশ্বাস করে তাকে এক জন দু’হাজার টাকা পাঠিয়েও দিয়েছেন। অভিনেত্রী বলেন, “আমার পোষ্যের কথা শুনে ওর খোঁজ নিতে আমার আসল নম্বরে কয়েক জন টেক্সট করলে আমি বিষয়টা আজ জানতে পারি।” তবে এই মুহূর্তে শুটিং চলছে বলে থানায় অভিযোগ জানাতে পারেননি শ্রীমা। তাঁর কথায়, “আমি এই ঘটনায় খুবই বিরক্ত। শুটিং চলছে বলে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানানো হয়নি। তবে তেমনই পরিকল্পনা রয়েছে। সমাজমাধ্যমে দিলাম, যাতে মানুষ বিষয়টা জানতে পারেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement