(বাঁ দিকে) সায়নী দত্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
বিয়ে করছেন অভিনেত্রী সায়নী দত্ত। ১৫ ডিসেম্বর কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামের গুরুদ্বারে পঞ্জাবি রীতি মেনে বিয়ে হবে। তার পর ১৬ ডিসেম্বর শহর কলকাতার এক বিলাসবহুল হোটেলে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়েছে। পাত্র বাঙালি নন, পঞ্জাবি এবং শিখ ধর্মাবলম্বী। চণ্ডীগড়ের গুরবিন্দরজিৎ সমরাকে বিয়ে করছেন নায়িকা। নামী একটি বহুজাতিক সংস্থার উচ্চ পদে কর্মরত গুরবিন্দরজিৎ। দু’জনের পেশা সম্পূর্ণ আলাদা। সায়নী কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে থাকেন। তাঁর হবু স্বামী থাকেন লন্ডনে। তবে বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে কলকাতায়। সায়নী অভিনেত্রী, তাঁর বাবা সুভাষ দত্ত খ্যাতনামী পরিবেশকর্মী। আয়োজনে কোনও খামতি রাখছে না সায়নীর পরিবার। নিমন্ত্রিতের তালিকায় রয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সায়নীর বিয়েতে আসতে পারবেন না তিনি, তবে উপহার পাঠাতে ভোলেননি মুখ্যমন্ত্রী।
সায়নীর বিয়েতে মমতার চিঠি। নিজস্ব চিত্র।
এই মুহূর্তে মুম্বইতে রয়েছেন সায়নী। বৃহস্পতিবারই ফিরবেন কলকাতায়। একেবারে বিয়ে সেরে ফিরে যাবেন স্বামীর সঙ্গে তাঁর শহরে। তবে বিয়ের জন্য শহরে পা রাখার আগে উপহার পেলেন মুখ্যমন্ত্রীর তরফে। কী পেলেন সায়নী? এই প্রসঙ্গে সায়নী আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘আমার বাবার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পরিচিতি রয়েছে। ওঁকে নিমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ওঁর শরীর খুব একটা ভাল নেই। তাই বিয়ের দিন আসতে পারবেন না। তবে তিনি আমার জন্য হাতে লেখা চিঠি পাঠিয়েছেন। আর এটাই আমার বিয়ের সব থেকে বড় উপহার। সবাই তো সোনা-গয়না-শাড়ি দেন, তবে এই চিঠি যে কতটা স্পেশ্যাল, বলে বোঝাতে পারব না। তবে চিঠির সঙ্গে অন্য বেশ কিছু উপহারও পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমি আপ্লুত।’’ ১৬ ডিসেম্বর কলকাতার রিসেপশন মিটিয়েই নবদম্পতি চলে যাবেন চণ্ডীগড়। ১৯ ডিসেম্বর সেখানে অনুষ্ঠানের পর ২২ ডিসেম্বর মুম্বইয়ে আরও একটি রিসেপশন হওয়ার কথা। তবে বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে সায়নী সংসার পাতবেন লন্ডনেই।