টেলিপাড়ায় ঋত্বিকা সেন। ‘বেদের মেয়ে জোৎস্না’য় সাদা পরির চরিত্রে।
শুনেছেন? টেলিপাড়ায় ঋত্বিকা সেন! ছোট পর্দায় অভিনয় করছেন! সান বাংলার ‘বেদের মেয়ে জোৎস্না’য় সাদা পরি তিনি। আপাতত এই খবরেই চারিদিকে কানাকানি। হঠাৎ ঋত্বিকা ধারাবাহিকে... কেন? পরিচালক সুমন রায়ের যুক্তি, ‘‘ট্যুইস্ট, বলতেই পারেন! যদিও চিত্রনাট্যে সাদা পরি ছিলই। সেই ভূমিকায় ঋত্বিকা। আগে আগে দেখুন, বড় পর্দার আরও কত তারকা চোখ ঝলসে দেবেন!’’
খাতায়-কলমে শরৎ। এ দিকে আকাশ মেঘলা। টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োর ২ নম্বর ফ্লোরে ‘রোহিণী’ শ্রীমা ভট্টাচার্য তখন কালো পরির কালা জাদুতে ব্যতিব্যস্ত। নাস্তানাবুদ তার ‘সৈনিক’ অর্কজ্যোতি পালও। এঁদেরই সাহায্য করতে চিত্রনাট্য মেনে গত দু’দিন ধরে সেটে ঋত্বিকা।
বড় পর্দার নায়িকা ছোট পর্দায় ক্যামিও? প্রশ্ন শুনে বিস্মিত ‘জুলেখা খান’, ‘‘অনেকেরই খেয়াল নেই, আমার অভিনয়ের হাতেখড়ি কিন্তু ছোট পর্দাতেই। তখন খুবই ছোট। সেই জায়গা থেকে আবার ডাক এল যখন কী করে এড়াই?’’
আরও পড়ুন: বড় হয়ে তৈমুর একজন অভিনেতা হতে পারে, বললেন সইফ
ঋত্বিকা আক্ষরিক অর্থেই ‘বড়’ হয়েছেন অপর্ণা সেনের হাত ধরে ‘আরশিনগর’ ছবিতে। দেবের নায়িকা হয়েছেন। আরও অনেক ছবি, ওয়েব সিরিজ মিলিয়ে কেরিয়ার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। সেই পজিটিভিটির ছায়া ধারাবাহিকে তাঁর অভিনীত চরিত্রেও। ‘সাদা পরি’ সারা ক্ষণ অশুভকে নাশ করে শুভ-র জয়গান গাইবে। ঠিক যেমন দেশের অসহিষ্ণুতা, অতিমারির আক্রমণ কমাতে আসছেন দশপ্রহরণধারিণী, দাবি অভিনেত্রীর।
ছোট আর বড়বেলার টেলিপাড়ায় কি আকাশ-পাতাল পার্থক্য? গর্ব মাখানো উত্তর এল, অনেক উত্তরণ, অনেক অভিজাত হয়েছে এখনকার টেলিপাড়া। ঋত্বিকা উচ্ছ্বসিত, এত দিন পরে আবার ছোট পর্দায়। সেটের সবাই দারুণ সহযোগিতা করছেন। খুব ভাল বন্ধু হয়ে গিয়েছেন শ্রীমা।
আরও পড়ুন:ছেলেমেয়ের অবস্থা দেখে আমিও আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলাম, বললেন রিয়ার মা
‘সাদা পরি’ হিসাবে ঋত্বিকাকে দেখতেও বেশ লাগছে। পায়ের পাতা ঢাকা দুধ-সাদা গাউন। তাতে রুপোলি নকশার ছোঁয়া। গলা জুড়ে সাদা পাথরের ভারী নেকলেস। মাথায় ঝিলমিলে মুকুট। খোলা চুল। হাতে জাদুদণ্ড। যার দিকে শ্যেন নজর কালো পরির!
সেটে কাজ করতে এসে খুব ভাল বন্ধু হয়ে গিয়েছেন ঋত্বিকা ও শ্রীমা।
কেরিয়ারে এই পরিবর্তন ইতিবাচক ছাপ ফেলবে? দেরি হয়ে গিয়েছে কথা বলতে বলতে। বড় বড় পা ফেলে এগোচ্ছিলেন সেটের দিকে। থমকে গেলেন একটু। তার পরেই বেশ পরিণত জবাব, ‘‘ছোট পর্দা খুব চট করে সবার ঘরের ভিতর ঢুকে যায়। মনের ভিতরেও। দর্শকের মনে জায়গা করে নেওয়ার লোভ কোন অভিনেতার নেই! আমারও আছে। হোক না ক্যামিও। এই সুযোগে অ-নে-কে একসঙ্গে দেখবেন আমায়। এটা কম পাওনা?’’
ভিতরে পা রাখতেই ঋত্বিকার পিঠে দুটো বিশাল ডানা! সেই ডানায় ভর করে সেটের মধ্যেই উড়াল দিলেন কল্পলোকে। যে ‘ফ্যান্টাসি’ নাকি আজও তাঁকে হাতছানি দেয় যখন তখন!
এই ফ্যান্টাসি সোম থেকে রবি রোজ সন্ধে সাড়ে সাতটায় দেখা যায়, সান বাংলায় ‘বেদের মেয়ে জোৎস্না’য়।