Bangladesh Unrest

‘এত যন্ত্রণা সয়ে এক মেয়ের মৃত্যুবরণ করা! তা হলে কোথায় নিরাপদ আমরা’, প্রশ্ন ঋতুপর্ণার

আরজি কর-কাণ্ডে প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ। তার পরেও একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। কী বলছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৪ ১৫:০৮
Share:

আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। গ্রাফিক্স: সনৎ সিংহ।

অপর্ণা সেনের ‘পারমিতার একদিন’ ছবির নায়িকা ‘পারমিতা’ কি এ বার পর্দার মতোই প্রতিবাদী? শুক্রবার রাতে এক ভিডিয়োবার্তায় তাঁর বক্তব্য বলছে, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর প্রতিবাদী চেহারা বাস্তবেও প্রকাশ্যে। ভিডিয়োবার্তায় তিনি ধিক্কার জানিয়েছেন আরজি কর-কাণ্ডের বিরুদ্ধে। সমর্থন জানিয়েছেন প্রতিবাদী চিকিৎসকদের। সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন মৃতা এবং তাঁর পরিবারের উদ্দেশে। প্রশ্ন তুলেছেন, “এত যন্ত্রণা সয়ে এক মেয়ের মৃত্যুবরণ করা! তা হলে কোথায় নিরাপদ আমরা?”

Advertisement

প্রযোজক-অভিনেত্রী কথাই শুরু করেছেন তাঁর হতাশা প্রকাশ করে। বলেছেন, “যতটা অসহায় ততটাই হতাশ। প্রতিবাদের পর প্রতিবাদ। মিছিলের পর মিছিল। তার পরেও অন্যায় ঘটে চলেছে। নানা জায়গা থেকে নারীর প্রতি অসম্মান, অন্যায়ের খবর পাচ্ছি। এক জন নারী হিসেবে এই ধরনের ঘটনা আর নিতে পারছি না।” এ-ও জানাতে ভোলেননি, তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে ঘটা অন্যায় শুধুই আর চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত নারীদের মধ্যে আবদ্ধ নেই। এই ঘটনা সমগ্র নারীজাতির অপমান। যা দেখতে দেখতে তিনি অবশ!

ঋতুপর্ণার আফসোস, “মানবতা, মনুষ্যত্ব ক্রমশ যেন অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। আর আমরা অসহায় হয়ে দেখছি। বহু দিন ধরে বহু বছর ধরে চলছে। নির্ভয়াকাণ্ডের সময়েও দেশ প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিল। মিছিলের পর মিছিল শহরে শহরে, রাজপথ ধরে। অন্যায় কিন্তু থামেনি। আজ মেয়েরা আর কোথাও নিরাপদ নয়! না ঘরে না বাইরে। না পরিচিত গণ্ডিতে, না পেশা দুনিয়ায়।” সেই জায়গা থেকে তিনি কড়া আইনপ্রয়োগ এবং শাস্তি চেয়েছেন। এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, যাতে বাকিরা অন্যায় করার আগে দু’বার ভাবে। ভাবতে গেলে তাদের শিরদাঁড়া দিয়ে ভয়ের চোরাস্রোত বইবে। তাঁর আশা, তাতে যদি নারীদের জগৎ পাল্টায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement