ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
সিঙ্গাপুরের ৩৭ তলায় বন্দি তিনি। প্রাণ ছটফটিয়ে উঠছে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের। মেয়ের আবদারে বেরিয়ে পড়লেন সমুদ্র দেখতে। বাড়ির কাছেই সমু্দ্র। ছেঁড়া হট প্যান্ট ও বিকিনি টপ, খোলা চুল, কালো চশমায় নীল বিস্তীর্ণ জল দেখে মাতোয়ারা ঋতুপর্ণা। বালি মেখে নিলেন শরীরে। বললেন, ‘কত জমে থাকা ব্যথা প্রেম ভালবাসা মিশে গেল চিঠির পাতায়।’ কখনও মেয়ে ঋষণার সঙ্গে, কখনও বা একা তিনি। সমুদ্র, আকাশ, প্রেম, চুম্বন মিশে গেল তাঁর অস্তিত্বে। শুধু মাত্র আনন্দবাজার অনলাইনের জন্য লিখলেন কবিতা।
কন্যার সঙ্গে অভিনেত্রী
বন্ধ ঘর মুখোশ মানুষ
ক্লান্ত পথ আর শান্ত নদী
কিছু ইমারত আর কিছু আকাশ
চুঁয়ে থাকা মেঘ আর চুঁইয়ে পড়া জল
বড্ড একা লাগছিল, মেঘ দেখছিলাম
মনের মতো রাস্তা নেই, চলার গতি নেই, পায়ের শব্দ নেই
ইচ্ছে করলেই যাওয়া আসা নেই
তবু মন চাইছিল মেঘকে একটা চিঠি লিখি
আর সমুদ্রের পাড়ের গল্প বলি
দুহিতা বলল, মা চলো না, মেঘ দেখি,
আর বৃষ্টিকে ছুঁই, সমুদ্রের পাড়ে যাই
লিখেই দিলাম দু’লাইন মেঘকে
মন খারাপের বাদল হাওয়া ছুঁয়ে দিল আনমনা মনকে
কত জমে থাকা ব্যথা প্রেম ভালবাসা
মিশে গেল চিঠির পাতায়
আর রয়ে গেল মনের খাতায়
বৃষ্টি ভেজা জলের অভিমান নিলাম সারা শরীরে
ছোট্ট ছোট্ট শব্দ শুনলাম, চমকালাম বিদ্যুতের চোখ রাঙানিতে
মেঘের অন্তরালে মেঘ জমল, মেঘ বেরোলো,
কখন যে মেঘ সমুদ্র আকাশ এক হয়ে গেল জানি না
সমুদ্রের জলস্রোত উচ্ছ্বাস বৃষ্টির বন্যা হল
আমি বালি আর বৃষ্টি মেখে তখন দাঁড়িয়েছিলাম
একা পরিত্যক্ত
জোয়ারে হাওয়ার সাথে মেশানো বৃষ্টির ছাট
আমাকে আনমনা প্রেম দিচ্ছিল
এক বৃষ্টি বিকেলের অনুভূতি দিচ্ছিল
আর আমি ভাবছিলাম আমার আগের বাড়ির বারান্দায় সমু্দ্র আসত
যেখানে আকাশ আর সমু্দ্রের গভীর চুম্বন হতো