Akshaya Tritiya 2025

অক্ষয়তৃতীয়ায় পাঁচটি ছবির মহরত হয়েছে! এক স্টুডিয়ো থেকে আর একটিতে দৌড়েছি: শতাব্দী রায়

“আমার ছোটবেলায় অক্ষয়তৃতীয়া মানে প্রচুর শুটিং আর সোনার গয়নার মডেলিং। তবে নিজে খুব একটা কিনতাম না।”

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:১৩
Share:
অক্ষয়তৃতীয়ায় সোনা কেনেন শতাব্দী রায়?

অক্ষয়তৃতীয়ায় সোনা কেনেন শতাব্দী রায়? গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

একটা সময় পয়লা বৈশাখ পেরোলেই বাঙালি ক্যালেন্ডারের পাতা ওল্টাতেন। কবে অক্ষয়তৃতীয়া, সেই খোঁজে। সাংসদ-অভিনেত্রী শতাব্দী রায় ছোটবেলায় সেই সময় দেখেছেন। যে সমস্ত গয়নার দোকানে পয়লা বৈশাখে হালখাতা বা লক্ষ্মী-গণেশ পুজো হত না, তারা এ দিন করত। অভিনেত্রীর স্পষ্ট মনে আছে, দোকান সাজানো হত বেল, জুঁই অথবা রজনীগন্ধার মালায়। হালখাতা করতে গেলেই ক্যালেন্ডার আর মিষ্টির বাক্স মিলত।

Advertisement

এই হিসাব বদলে গিয়েছে যখন শতাব্দী অভিনয় দুনিয়ায় এসেছেন। তখন স্টুডিয়োপাড়ায় এই দিন মহরত বা নতুন ছবির ঘোষণার দিন। “এমনও দিন গিয়েছে, ওই দিন একসঙ্গে পাঁচটি ছবির মহরত হয়েছে। পাশাপাশি দুটো স্টুডিয়োয় মহরত হলে সমস্যা নেই। একটা থেকে বেরিয়েই আর একটিতে ঢুকে পড়তাম। কখনও কখনও পাঁচটি ছবির মহরত হত পাঁচটি স্টুডিয়োয়। একটা শেষ হলে আর একটিতে দৌড়তাম”, আনন্দবাজার ডট কমের কাছে স্মৃতি উজাড় করেছেন সাংসদ-অভিনেত্রী।

শতাব্দী জানিয়েছেন, এই দিনে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হত স্টুডিয়োপাড়ায়। অনেক সময় মুম্বই থেকে তারকারা মহরতের অতিথি হয়ে আসতেন। ক্ল্যাপস্টিক দিতেন। ছবির একটি দৃশ্য হয়তো ক্যামেরাবন্দি হত। তার পরেই ছুটি। মিষ্টিমুখের পালা। যাঁরা নোনতা ভালবাসতেন তাঁদের জন্য নোনতা খাবার আনানো হত। খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গে বাড়তি পাওনা আড্ডা। এ দিন কাজের চাপ কম থাকায় অভিনেতা-পরিচালক-প্রযোজকেরা একসঙ্গে বসে মন খুলে আড্ডা দিতেন।

Advertisement

অক্ষয়তৃতীয়া বললে আরও একটি কথা মনে পড়ে শতাব্দীর, “সোনার গয়নার বিজ্ঞাপন করতাম খুব। এই দিন সোনা কেনার একটা চল আছে বাঙালির মধ্যে। ফলে, প্রথম সারির অলঙ্কার বিপণি থেকে মডেলিংয়ের জন্য ডাক পেতাম।”

তিনি নিজেও কি গয়না কিনতেন এই দিনে? অভিনেত্রীর সাফ জবাব, তিনি কোনও দিনক্ষণে বিশ্বাসী নন। ইদানীং যেমন চল হয়েছে, ধনতেরাসের দিন সোনার গয়না বা রুপোর বাসন কিনতেই হবে, শতাব্দী সে সব মানেন না। তাঁর কথায়, “আমার যে দিন মনে হয় সে দিন আমি কেনাকাটা করি। বিশেষ দিনে নয়।”

অক্ষয়তৃতীয়ায় এখন আর ছবির মহরত হয় না। গয়নার মডেলিং থেকেও অনেক বছর দূরে। এ বছর শতাব্দী বিশেষ দিনে কী করবেন? এ বার জবাব দিলেন বীরভূমের সাংসদ, “এই দিনে জগন্নাথদেবের পুজো হয়। তারাপীঠ মন্দিরে জগন্নাথদেবের পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। এ দিন রামপুরহাট যাব।” তার পরেই আফসোস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘায় জগন্নাথদেবের মন্দির উদ্বোধন করবেন অক্ষয়তৃতীয়ায়। ওখানে উপস্থিত থাকতে পারলে ভাল লাগত তাঁরও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement