Akshaya Tritiya 2025

অক্ষয়তৃতীয়ায় একটি জিনিস কেনা নিষেধ! পরিবারে শান্তি বজায় রাখতে টোটকার পরামর্শ অপরাজিতার

অক্ষয়তৃতীয়ায় সূর্য ও চন্দ্রের অবস্থান এমন জায়গায় থাকে, যা পৃথিবীর উপর সুপ্রভাব আনে। আনন্দবাজার ডট কমকে জানালেন অপরাজিতা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৪০
Share:
Actress Aparajita Adhya shares a remedy to maintain peace in family

অক্ষয়তৃতীয়া নিয়ে কী বললেন অপরাজিতা আঢ্য? ছবি: সংগৃহীত।

স্পষ্টবাদী তিনি। যে কোনও বিষয় নিয়ে যুক্তি দিয়ে কথা বলেন তিনি। আবার ঈশ্বরেও প্রবল ভাবে বিশ্বাসী। তাঁর বাড়ির লক্ষ্মীপুজো বা সরস্বতীপুজো নিয়ে আগ্রহ থাকে অনুরাগীদের। গণেশচতুর্থীতেও নিজে হাতে গণপতির মূর্তি তৈরি করে পুজো করেছেন। অক্ষয়তৃতীয়াতেও বেশ কিছু বিষয় মেনে চলেন অপরাজিতা আঢ্য। মানুষের সুখশান্তি যেন অক্ষয় থাকে— অক্ষয়তৃতীয়ার অন্যতম লক্ষ্য এটিই। মত অভিনেত্রীর।

Advertisement

অক্ষয়তৃতীয়ায় সূর্য ও চন্দ্রের অবস্থান এমন জায়গায় থাকে, যা পৃথিবীর উপর সুপ্রভাব আনে। আনন্দবাজার ডট কমকে জানালেন অপরাজিতা। তিনি বলেন, “এই দিন পুজো করলে, মানুষের সুখশান্তি অক্ষয় থাকে। পরিবারে সমৃদ্ধি আসে। ধনতেরসের দিন কুবেরের পুজো হয়। অক্ষয়তৃতীয়ার দিনেও কুবেরের পুজো হয়। সারাবছর লক্ষ্মীর সঙ্গে কুবেরের পুজো হয় না। কিন্তু এই বিশেষ দিন দু’টিতে হয়। তার ফলে সমৃদ্ধির বিকাশ হয়।”

আরও একটি বিষয় খুব সচেতন ভাবে মাথায় রাখেন অপরাজিতা আঢ্য। তাঁর কথায়, “অক্ষয়তৃতীয়ায় কালো রঙের কোনও জিনিস কিনতে নেই। কালো রঙের কোনও জিনিস দান করতে নেই। কালো পোশাক, কালো বাসন— কোনও জিনিসই ঘরেও আনতে নেই। বিশেষ করে, কালো রঙের প্লাস্টিক একেবারেই আনতে নেই এই দিন। ছোটবেলা থেকে এটা মেনে এসেছি।”

Advertisement

জ্যোতিষশাস্ত্রেও বিশ্বাস করেন অপরাজিতা। পরিবারের মঙ্গলের জন্য একটি টোটকাও মেনে চলেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, “একটা বিষয় লক্ষ করেছি। সারাবিশ্ব জুড়ে অস্থিরতা চলছে। পৃথিবীতে, সংসারে, কর্মক্ষেত্রে, সর্বত্রই যেন অশান্তি। অস্থির হয়ে পড়লে প্রকৃতিও অস্থির হয়ে পড়বে। তাই এখন স্থির থাকাই কাম্য। কারণ স্থিরতার মধ্যেই শ্রীকৃষ্ণের বাস।” এর পরেই স্থিরতা বজায় রাখার জন্য একটি টোটকার পরামর্শ দেন। অপরাজিতা বলেন, “রোজ বাড়িতে একটু কর্পূর জ্বালালে, পোকামাকড় দূর হয় বটেই। আর কর্পূরের সঙ্গে একটু লবঙ্গ জ্বালালে, নেতিবাচক প্রভাব দূর হয়। রোজ সম্ভব না হলে, মঙ্গলবার ও শনিবার এটা করা যেতে পারে।”

তিনি যোগ করেন, “শনিবার চন্দ্রের অবস্থানের জন্য কোনও গুরুপাক খাবার খেতে নিষেধ করা হয়। তাই এই দিন নিরামিষ খাওয়ার কথা বলা হয়। না হলে হজমের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই টোটকা মেনে চললে আসলে মানসিক ভাবে শান্তি পাওয়া যায়। তার থেকে বড় কিছু তো হয় না।”

অক্ষয়তৃতীয়ার খাবারের প্রসঙ্গে অপরাজিতার স্পষ্ট মন্তব্য, “এই দিনের খাওয়া-দাওয়া মানেই নিরামিষ। এই দিন বাড়িতে পুজোপাঠ হয়। তাই এই দিন মাছ-মাংস ছাড়া নিরামিষ রান্নাই পছন্দ করি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement