পল্লবীর মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন তাঁর দিদি পৌলোমী দে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
অভিনেত্রী পল্লবী দে-র রহস্যমৃত্যুতে উঠে আসছে একাধিক তথ্য। এ বার আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ করলেন পল্লবীর দিদি পৌলোমী দে। তিনি এ-ও জানান, বোনের সঙ্গে প্রায়শই ঝামেলা হত তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তীর। পৌলোমী জানান, তাঁর বোন হাওড়ার ভানুমতী বালিকা বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। পরস্পরের বাড়িতেও যাতায়াত ছিল। তবে কিছু দিন বোন কলকাতায় থাকার কারণে তেমন ভাবে যোগাযোগ হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘কিছু দিন যাবৎ বোন বাড়িতে থাকত না। কাজের জন্য এক-দেড় বছর বাইরেই।’’
কেমন সম্পর্ক ছিল সাগ্নিকের সঙ্গে বোনের? দিদি পৌলোমী বলেন, ‘‘ওরা বিয়ে করেনি। তবে ভালবেসে এক সঙ্গে থাকত। সম্পর্কে ঝামেলা ছিল কি না, বলতে পারব না। কিন্তু ওঁদের ঝগড়া-মারপিট হত। জিনিস ভাঙচুর করতে দেখেছি। তবে ওদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে কখনও কিছু জিজ্ঞাসা করিনি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের পাড়ারই ছেলে (সাগ্নিক)। বাড়িতেও যাতায়াত ছিল। ছেলেটা তো ভাল বলে জানতাম। তবে আগে ওর কোনও সম্পর্ক ছিল কি না জানি না।’’
সূত্রের খবর, পুলিশের কাছে মৃত টেলি অভিনেত্রীর লিভ-ইন সঙ্গী দাবি করেছেন, পল্লবীর আর্থিক সমস্যা চলছিল। এ নিয়ে তিনি চিন্তায় ছিলেন। তবে পল্লবীর দিদির দাবি, ‘‘বোনের কোনও ধারদেনা ছিল না।’’ তাঁর স্পষ্ট দাবি, ‘‘ধারদেনা ছিল না। বোনের আর্থিক সমস্যা একেবারেই ছিল না। দিব্যি একের পর এক টেলি সিরিয়ালে কাজ পাচ্ছিল। আর কাজ না পেলে অধৈর্য হওয়ার মেয়ে নয় ও। দিব্যি ছিল বোন।’’ পৌলোমীর সংযোজন, ‘‘হয়তো মানসিক সমস্যা ছিল। দূরে থাকার কারণে আমরা টের পাইনি।’’ বোনের অস্বাভিক মৃত্যু নিয়ে দিদি বলেন, ‘‘চাপে পড়েই হয়তো এ কাজ করেছে। কিংবা কেউ করতে বাধ্য করেছে।’’ জানান, পুলিশের তদন্তেই এখন আস্থা রাখছেন তাঁরা।