মানালি দে।
গত বছর খাতায়-কলমে বিয়ে সেরেছিলেন অভিনেত্রী মানালি দে। কারণ করোনা অতিমারি, লকডাউন। বছর ঘুরে গেলেও বদলায়নি হাল। বিয়ের পর প্রথন জন্মদিনও কাটছে আংশিক লকডাউনের আবহেই। করোনার কোপে কি তবে সব আনন্দ ফিকে? মানালির কথায়, “আমার বিশেষ দিনগুলোতেই লকডাউন আর করোনার থাবা। বিয়ের পরের জন্মদিনটাও ছাড় পেল না। তবে বাড়িতেই কাছের মানুষদের নিয়ে আনন্দ করব।”
ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২টা হতেই মানালির জন্য জন্মদিনের কেক এনেছিলেন তাঁর বাবা। সেই কেক কেটেই জীবনের নতুন বছরে পা রেখেছেন ‘মৌরী’। তাই বলে মাঝরাতেই শেষ নয় উদযাপন! ব্যস্ত রুটিন থেকে সময় বার করে সারা দিনটা মানালি তুলে রেখেছেন কাছের মানুষদের জন্য। বাবা, দাদু, শ্বশুর-শাশুড়ি এবং স্বামী অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে বসবে বিরিয়ানির আসর। আজকের দিনে বৌমাকে রেঁধে, বেড়ে খাওয়ানোর দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছেন স্বয়ং অভিমন্যুর মা।
এ সবই তো হল! কিন্তু বিয়ের পর প্রথম জন্মদিনে বৌকে কী উপহার দিচ্ছেন অভিমন্যু? “এখন তো আর আলাদা করে সারপ্রাইজ বলে কিছু থাকে না। আজকের কেকটা আনার দায়িত্ব ওর। এ ছাড়াও অনেক সাজগোজের জিনিস কেনার ছিল। সব অভির টাকায় কিনে নিয়েছি”, লাজুক হেসে উত্তর মানালির।
তবে মানালি মনে করেন, জন্মদিনের সেরা উপহার দিন চারেক আগেই পেয়ে গিয়েছেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনে নিজের দলের জয়ের থেকে বড় উপহার আর কিই বা হতে পারে! উচ্ছ্বাস মানালির গলায়, “দিদির জয়, দলের জয় আমার কাছে সব থেকে বড় পাওয়া। আমি জানতাম দিদির জয় হবেই। ১০ বছর ধরে তাঁর পাশে থাকার সৌভাগ্য হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ভাবেই সঙ্গে থাকব।”
পছন্দের বিরিয়ানি, বরের দেওয়া উপহার, রাজনৈতিক জয়— এক জন্মদিনেই ভরে উঠেছে মানালির ঝুলি। এর পরেও তাঁর মনের আকাশে অতিমারির কালো মেঘ। সেই জন্যই অভিনেত্রীর ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে নেই জন্মদিন উদযাপনের ছবির ঘনঘটা। এই অতিমারি কেটে গিয়ে আবারও ফিরে আসুক সুদিন— জীবনের বিশেষ দিনে এই প্রার্থনাই করছেন মানালি।