Actress Chrisann Pereira

ট্রফির মধ্যে মাদক নিয়ে অডিশনে ‘সড়ক ২’-এর অভিনেত্রী! নেপথ্যে কে? ধরিয়ে দিলেন তাঁর মা

অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার নাম করে কলাকুশলীকে অডিশনে পাঠাত এবং হাতে ধরিয়ে দেওয়া ট্রফির মধ্যে করে মাদক পাচারের ছক বজায় রাখত এই চক্র। কাকপক্ষীটি টের পেত না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:১৩
Share:

অভিযুক্ত অ্যান্থনি পলই নাকি প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন প্রেমিলার বিরুদ্ধে। তাই ফাঁসিয়েছেন তাঁর কন্যাকে। —ফাইল চিত্র

ট্রফির মধ্যে লুকোনো ছিল মাদকের প্যাকেট! অজান্তেই তা নিয়ে দুবাইয়ে অডিশন দিতে গিয়েছিলেন মুম্বইয়ের অভিনেত্রী ক্রিসান পেরেইরা। বিমানবন্দরে তল্লাশির সময়েই ধরা পড়ে যান তিনি। মাদক পাচারকারী ভেবে ২৭ বছরের অভিনেত্রীকে গ্রেফতার করেছিল শারজাহ পুলিশ। ১ এপ্রিল থেকে তিনি দুবাইয়ের জেলেই রয়েছেন। তবে তদন্তের সময় জানা যায়, ‘সড়ক ২’-এর অভিনেত্রীকে ফাঁসানো হয়েছে। সেই থেকে আসল চাঁইয়ের খোঁজে তদন্ত চলছিল। শেষমেশ মুম্বই পুলিশের জালে পড়লেন দুই অপরাধী। যদিও খোঁজ মিলেছে তিন জনের। এক জন পলাতক।

Advertisement

অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার নাম করে কলাকুশলীকে অডিশনে পাঠাত এবং হাতে ধরিয়ে দেওয়া ট্রফির মধ্যে করে মাদক পাচারের ছক বজায় রাখত এই চক্র। কাকপক্ষীটি টের পেত না। তাঁদের মধ্যে গ্রেফতার হওয়া দু’জনের নাম অ্যান্থনি পল (৩৫) এবং রাজেশ বুভাত (৩৫)। পল মালাদ এলাকায় একটি বেকারির দোকান চালান। অন্য দিকে, রাজেশ ওরফে রবি আবার নাম করা ব্যাঙ্কের সহকারী ম্যানেজার।

পুলিশ জানতে পেরেছে, হলিউডের এক ওয়েব সিরিজে কাজের সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দেওয়া হয়েছিল ক্রিসানকে। তাঁর মা প্রেমিলা পেরেরাকেও ঠকানো হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত অ্যান্থনি পলই নাকি প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল প্রেমিলার বিরুদ্ধে। তাই ফাঁসিয়েছেন তাঁর কন্যাকে। কী রকম?

Advertisement

জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানতে পারে, অতিমারির সময় প্রতিবেশী প্রেমিলার সঙ্গে বচসা বেধেছিল পলের বোনের। প্রেমিলা পশুপ্রেমী,লকডাউনের মধ্যে পথকুকুরদের যত্ন করতেন খাওয়াতেন— এ নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত। বোনের সঙ্গে এক বার চড়াও হয়েছিলেন পলও, প্রেমিলার সঙ্গে হাতাহাতিতে তিনিও অংশ নেন বলে জানা যায়।

তদন্তের সময় বোঝা যায়, সবটুকুই প্রতিশোধস্পৃহা থেকে পাতা পরিকল্পিত ফাঁদ। যাতে ধরা দিয়েছিলেন কর্মসন্ধানী ক্রিসান। তিনি যখন দুবাইয়ে পৌঁছন, বুঝতে পারেন তাঁর নামে কোনও হোটেল বুকিং নেই। তখনই তিনি পরিবারকে সব কথা খুলে জানান এবং তাঁকে যে ট্রফি দেওয়া হয়েছে অডিশনে লাগতে পারে বলে, সেটির একটি ছবিও পাঠিয়ে দেন। এর পরই পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে শারজাহের পুলিশকে জানান ক্রিসান। যদিও তাঁকেই উল্টে মাদক পাচারকারী সন্দেহে হাজতে পুরে দেয় দুবাইয়ের প্রশাসন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement