নীল-তৃণা।
দিন দুই আগেই সৌজন্যকে জড়িয়ে জম্পেশ ‘আলিগা’ গুনগুনের! ভরা বসন্তে ‘সৌগুন’-এর এই জাপটাজাপটি ‘খড়কুটো’র মতোই আত্মহত্যার টেনশন উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে ধারাবাহিক থেকে। দর্শকদের মন থেকেও। শ্বশুরবাড়ির সবাইকে আদরের পাশাপাশি সৌজন্যকেও ভালবাসতে ভোলেনি সে। তারই ঝলক দেখা গেল বাস্তবেও। পর্দার স্বামীর মতোই ‘রিয়েল’ স্বামীকে জড়িয়ে ‘পাওরি’তে মাতলেন ‘গুনগুন’ তৃণা সাহা।
সেই দৃশ্যও দেখার মতো। ‘সোনার সংসার পুরস্কার’ মঞ্চে ‘সেরা অভিনেতা’র সম্মান পেয়েছেন ‘নিখিল’ নীল ভট্টাচার্য। ‘পাওরি তো বনতা হ্যায়’? পর্দায় অন্যরা যতক্ষণে ভাবে গুনগুন ততক্ষণে সেই কাজ সেরে ফেলে। এখানেও ঘটল একই ঘটনা। পুরস্কার হাতে নিয়ে নিখিলের মঞ্চ থেকে নামতে যা দেরি। উচ্ছ্বাসে আত্মহারা তৃণা প্রায় হাফ নেচে নিয়েছেন সেখানেই। বাকি ছিল ‘আলিগা’। সেটাও সেরেছেন ফাঁক তালে। সহ অভিনেতাদের সামনেই।
কেমন ছিল সেই দৃশ্য? তৃণার ইনস্টাগ্রামে শেয়ার হওয়া রিল ভিডিয়ো দেখিয়েছে, পুরস্কার পেয়ে যত আনন্দ নিখিলের তার চেয়েও দ্বিগুণ আনন্দে মেতেছেন তৃণা। ট্রফি হাতে ধরা নীলকে দেখিয়ে উল্লাসে চেঁচামেচি জুড়ে দিয়েছেন, ‘ইয়ে হাম হ্যায়। ইয়ে হামারা বেস্ট অ্যাক্টর হ্যায়। ঔর ইঁহা পাওরি হো রহি হ্যায়...।’ নীল-তৃণার উদ্যাপনে সামিল ছিলেন সহ অভিনেতারাও।
আনন্দে মাতামাতির পাশে ক্যাপশনেও মনের কথা প্রকাশ করেছেন ‘গুনগুন’, ‘আমি জানতাম এটা শুধুই সময়ের অপেক্ষা....তুমি সেটা প্রমাণ করে দিলে।’ তৃণার মতে, নীলের প্রতিভাই তাঁকে এ ভাবে আগামী বছরগুলোতেও সম্মানিত করবে। কারণ, নীল জন্মেছেন সম্মানিত হওয়ার জন্যেই।