মেয়ের সঙ্গে স্বস্তিকা।
আর পাঁচজন মায়ের মতোই মেয়ে অন্বেষা সেনকে নিয়ে কিছুটা সতর্ক স্বস্তিকা । স্বস্তিকা নিজের ঘর, বাড়ি অন্তপ্রাণ। তাই বেড়াতে বেরিয়েও ঘরের দরজা, জানলা, পাশবালিশের জন্য হঠাৎ হঠাৎ মনকেমন তাঁর।
ইনস্টাগ্রামের ছবি বলছে, মহীশূর রাজবাড়ি ঘুরে দেখতে দেখতে স্বস্তিকা আনমনা নিজের ঘরের কথা ভেবে। সেই ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে প্রশ্ন রেখেছেন অভিনেত্রী, ‘শুধু কি আমরা ঘর আগলাই?’ নিজেই নিজের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন, ‘ঘরও আমাদের আগলে রাখে। দরজা, জানলা, বারান্দা, খাট, পাশবালিশ, ওদেরও অনেক কাজ। আমাদের আপন করে নেওয়া, আমাদের গন্ধ মনে রাখা, আমাদের জন্য মন কেমন করা’। তাঁর দাবি, ‘এই জন্যেই তো আমাদের ফিরে ফিরে আসা। কারণ, ঘরও কথা বলে’। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্বস্তিকার পোস্ট আর ক্যাপশন পছন্দ করেছেন ৩৬ হাজারেরও বেশি নেটাগরিক। কী বলেছেন তাঁরা? অভিনেত্রীকে সমর্থন জানিয়ে স্বীকার করেছেন অনেকেই, ‘আজ সত্যি উপলব্ধি করলাম, কেন ঘরকে ছেড়ে থাকতে পারি না!’
ছবি দেখে এমন প্রশ্ন উঠে এসেছে, বেড়াতে গিয়েও কি ‘মোহমায়া’ সিরিজের ‘মোহ’ ছাড়েনি অভিনেত্রীকে? কারণ, তাঁর সাজ। এখানেও লালপেড়ে সাদা শাড়িতে তিনি যেন চিরন্তনী 'মা'। কপাল জুড়ে বড় সিঁদুর টিপ। হাতে চওড়া শাঁখা না থাকলেও রুলি আর সোনালি চুড়ি। হাতখোঁপায় জড়ানো জুঁইয়ের মালা। ছবির ছায়া তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতেও। টিপিক্যাল মায়ের মতোই কথা বলেছেন, ‘মেয়েকে ভালবাসতে শেখাব। কী করে থামতে হয়... সেটাও! ওরা কেউ থামতে শেখাবে না।’
প্রশ্ন থেকেই যায়, বাস্তব জীবনের যে সব ঘাত-প্রতিঘাত মায়েরা পার হন, সে সবের কথাই কি মনে করিয়ে দিতে চাইছেন মেয়েকে? এ যেন অন্য এক স্বস্তিকা! 'মোহ' থেকে ক্রমে 'মায়া'-র দিকে চলেছেন।
স্বস্তিকার ইনস্টাগ্রাম স্টোরি।