স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
‘ভালবাসতে ভুলে যাচ্ছে মানুষ?’ নিজেই প্রশ্ন তুলেছেন ওয়েব সিরিজ ‘চরিত্রহীন ৩’-এ। সেই প্রশ্নের উত্তর স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় পেয়ে গিয়েছেন গত কাল। অনেক দিন পরে মন থেকে খুশি ‘বিতর্ক কন্যা’। কেন? অতিমারির ইতিবাচক দিক দেখে। টুইট করে জানিয়েওছেন সে কথা, ‘মনটা ভাল হয়ে গেল'।
সাধারণ মানুষ যখন ভয়ে জড়োসড়ো করোনায়, তিনি খুঁজে পেলেন একটু ভাল থাকা। কী সেটি? ‘আজান হচ্ছে। সবাই কাজ থামিয়ে কান পেতেছে তাতে। শ্যুটিং স্পটে’, তাই দেখে তৃপ্ত স্বস্তিকা। উপলব্ধি করলেন, ‘আবার যেন শিকড়ের টানে ফিরছে সবাই। আবার ফিরছে পরধর্মসহিষ্ণুতা'।
স্বস্তিকা জানিয়েছেন, যতক্ষণ আজান চলেছে সবাই কাজ থামিয়ে অপেক্ষা করেছেন। আজান শেষ হতেই যে যার মতো ব্যস্ত। সেটের এই নেপথ্য কাহিনির টুকরো দৃশ্যে আশ্বস্ত তিনি। হয়তো বা কৃতজ্ঞ অতিমারির কাছে।
অস্তিত্ত্বে টান পড়তেই কি হুঁশ ফিরছে মানুষের? অভিনেত্রী আপ্রাণ আঁকড়ে ধরেছেন এই বিশ্বাসকেই। যা শান্ত করেছে তাঁর এলোমেলো মনকে।
স্বস্তিকা বরাবর সমসাময়িক। কিছুদিন আগে বলিউডের মাদক যোগ নিয়ে যখন দেশে তোলপাড়, তিনি সেখান থেকেও খুঁজে পেয়েছিলেন রসিকতা! ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশের সঙ্গে দীপিকা পাড়ুকোনের মাদক নিয়ে কথোপকথনের সময় নায়িকা জানতে চেয়েছিলেন, ‘‘মাল’ হ্যায় ক্যায়া?’ ‘মাল’ অর্থে তিনি মাদক বুঝিয়েছিলেন। কিন্তু বাঙালির কাছে ‘মাল’ অন্য জিনিস!
সেই নিয়ে মজার ছলে গত রাতে জনৈক নেটাগরিক টুইটে লেখেন, 'বাঙালির কাছে মাল মানে তো পানীয় (মদ)! বাঙালিদের নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তা হচ্ছে'। সঙ্গে সঙ্গে এই মন্তব্যে পাল্টা রসিকতা করেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। টুইটারে লেখেন, 'নির্ঘাৎ সবাই জেলে যাব! মাল থেকে মাছ, সিগারেট থেকে জল— আমরা তো সবই খাই। বাঙালি সব খায়'।