সৌরভ দাস। নিজস্ব চিত্র।
খবরের কাগজের পাতা ওল্টালেই হাজার খবর দুর্নীতি নিয়ে। পরিচালক দেবজিৎ হাজরা তেমনই শহরের দুর্নীতি ও তার পাল্টা সন্ত্রাসবাদের গল্প দেখাতে চলেছেন তাঁর প্রথম ছবি ‘তুরুপের তাস’-এ। যেখানে প্রথম ‘সন্ত্রাসবাদী’র চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন সৌরভ দাস। এ ছাড়াও রয়েছেন রজতাভ দত্ত, যুধাজিৎ সরকার, শ্রেয়া ভট্টাচার্য প্রমুখ।
ছবির ‘তুরুপের তাস’টি কি সৌরভ নিজেই? এই প্রথম সন্ত্রাসবাদী চরিত্রে অভিনেতা। সৌরভের চোখে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বিষয়টি ঠিক কেমন? কোনও জাত বা ধর্মগত আত্মপরিচয় থেকেই সন্ত্রাস জন্ম নেয় কি? অভিনেতার কাছে প্রশ্ন রেখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন।
পরিচালকের থেকে শট বুঝে নিচ্ছেন সৌরভ। ছবি: সংগৃহীত।
ছবিটি রহস্য-রোমাঞ্চ ঘরানার। সৌরভ তাই গল্প ভাঙতে পারবেন না। বদলে দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। ছবিতে তাঁর চরিত্রের নাম ‘মেহবুব খান’। সৌরভের কথায়, “আমি মনে করি না, সন্ত্রাসবাদীদের কোনও ধর্ম বা জাত হয়।” তার পরেই তিনি নিজের চরিত্র সম্পর্কে অকপট। জানিয়েছেন, ‘মেহবুব খান’ চরিত্রটি সমাজের সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি। শহুরে রাজনীতি নিয়ে তার কোনও মাথাব্যথা নেই। কিন্তু, এক জন সাধারণ মানুষ কী ভাবে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে সন্ত্রাসবাদীতে পরিণত হয়, সেই গল্প দর্শকদের ভাবাবে।
বাংলা ছবিতে সন্ত্রাসবাদের উপস্থিতি কম। যদিও হালফিলের নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘রক্তবীজ’, অঙ্কুশ হাজরার ‘মির্জ়া’ এই ধরনের ছবির উদাহরণ। তুলনায় বলিউডে এই ঘরানার ছবি বা চরিত্রের সংখ্যা বেশি। তাই অভিনয়ের আগে কোনও হিন্দি ছবি বা অভিনেতার অভিনয় দেখেছিলেন সৌরভ? অভিনেতার দাবি, “প্রথম কোনও চরিত্রে অভিনয় মানেই অন্য কোনও ছবি বা অভিনেতার অভিনয় দেখতে হবে, এমন না-ও হতে পারে। আমি যেমন আশপাশের মানুষদের হাবভাব অভিনয়ে জুড়ে নিই, এটাও সে রকমই।”
নতুন পরিচালক ভারী বিষয় নিয়ে ছবি বানালেন। রজতাভ ছাড়া বাকি অভিনেতারাও প্রায় নতুন মুখ। প্রায় পুরো ছবি সৌরভের কাঁধে। অভিনেতা যদিও বিষয়টি নিয়ে ভাবিত নন। তাঁর মতে, ছবির বিষয়, টানটান চিত্রনাট্য, পরতে পরতে রহস্য দর্শককে প্রেক্ষাগৃহে বসিয়ে রাখবে। তাঁর মতে, ‘তুরুপের তাস’-এর আসল আকর্ষণ গল্পে লুকিয়ে।