শ্রুতি দাস
হঠাৎ কেন কলাকুশলীদের সমর্থনে দীর্ঘ পোস্ট অভিনেত্রীর? শ্রুতির কথায়, ‘ত্রিনয়নী চলাকালীন আহমেদদাকে যেমন আবদার করতাম, আজ সে ভাবেই হঠাৎ একটা ফোন করলাম। ভাবছিলাম, আমায় হয়্তো স্বার্থপর ভাববেন উনি। অন্য প্রোডাকশনে কাজ করছি। এটা একান্ত ব্যক্তিগত আর্জি! কেমন আছ... কেমন আছি-র পরই বলে বসলাম, তোমার দাদা (স্বর্ণেন্দু) খামখেয়ালি কাজ-পাগল লোক। পারলে একটু নুন-চিনির সরবত করে দিও। দাদার শরীর ভাল না'। শ্রুতি জানান এর পর আহমেদ-দা বলেন, 'হয়ে যাবে। চিন্তা নেই। এখনই করে দিচ্ছি'।
সেই জায়গা থেকে শ্রুতি জানিয়েছেন, এঁরা কতটা আপনার হয়েও টেলি ইন্ডাস্ট্রিতে কতটা পর। তাঁর কথায়, প্রথম ধারাবাহিকে অভিনয়ের ফাঁকে চায়ের ভাই-দাদাদের সঙ্গে, ট্রলি সেটিংয়ের দাদার সঙ্গে অনেকক্ষণ সময় কাটাতেন, আড্ডা দিতেন। তার জন্য কটাক্ষও করা হয়েছিল তাঁকে, 'তুই কোনওদিন হিরোইন হতে পারবি না। এদের সঙ্গে এত মিশছিস কেন? ওয়েট চলে যায়!'
শ্রুতির তাই জিজ্ঞাসা, ‘কেন সব আর্টিস্টদের কাছে ওঁরা সম্মানজনক ব্যবহার পান না? জানি না'। তাঁর দাবি, মাত্র ২টি ধারাবাহিক করেই তিনি বুঝেছেন, নিজে যতই মেকআপ করতে বা চুল বাঁধতে পারুন, আদতে অভিনেতা আর কলাকুশলী একে অন্যের পরিপূরক।
টেলিপাড়া শ্রুতিকে স্পষ্টবক্তা হিসেবে চেনে। কলাকুশলীদের নিয়ে বলতে গিয়ে প্রতি বারের মতোই তিনি অকপট। তাই দ্বিধাহীন ভাষায় জানিয়েছেন, ‘টেকনিশিয়ান বন্ধু-ভাই-দাদা-দিদিদের থেকে যথাযথ ভালবাসা এবং সম্মান পাই। প্রথম কাজ ‘ত্রিনয়নী’ থেকে দ্বিতীয় কাজ ‘দেশের মাটি’-- পাল্টায়নি কিছুই'। তাই তাঁর যুক্তি, সমান সম্মান বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। একই সঙ্গে তাঁর লক্ষ্য মাটির কাছাকাছি থাকা। তাই শ্রুতি ‘টিপিক্যাল হিরোইন’ না হয়ে ভালবাসায় বাঁচতে চান। কাজ করে যেতে চান ভালবেসে।