Sabyasachi Chowdhury

কাজের অভাবে রাস্তায় মহানায়কের সহ অভিনেতা শঙ্কর ঘোষাল, পাশে সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলা

খবর পেয়েই আনন্দবাজার ডিজিটাল যোগাযোগ করেছিল শঙ্কর ঘোষালের সঙ্গে। নিজের পরিস্থিতির কথা জানাতে গিয়ে গলা ধরে এসেছে প্রবীণ অভিনেতার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২১ ১৬:৩৫
Share:

প্রবীণ অভিনেতার পাশে দাঁড়ালেন সব্যসাচী এবং ঐন্দ্রিলা।

সুখেন দাসের ‘প্রতিশোধ’ ছবিতে তিনি মহানায়ক উত্তমকুমারের সহ অভিনেতা ছিলেন। সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নহবত’ নাটকে তিনি সুপারহিট ‘বরের পুরুত’! তার পরেও কাজের অভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে হাত পাততে হচ্ছে প্রবীণ অভিনেতা শঙ্কর ঘোষালকে। নিজের সামাজিক পাতায় এ খবর জানিয়েছেন স্টার জলসার ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ ধারাবাহিকের ‘সাধক বামাখ্যাপা’ সব্যসাচী চৌধুরী। পোস্টে তাঁর আফসোস, এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা কাজের সুযোগ না পেয়ে পথে পথে হরেক জিনিস ফেরি করতেন। ৭০ বছর বয়সে সেটাও আর সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হয়ে হাতিবাগানের মতো জনবহুল অঞ্চলের রাস্তায় দাঁড়িয়ে হাত পাতছেন সাহায্যের আশায়। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছে ‘সৌদামিনীর সংসার’ ধারাবাহিকে।

খবর পেয়েই আনন্দবাজার ডিজিটাল যোগাযোগ করেছিল শঙ্কর ঘোষালের সঙ্গে। মুঠোফোনে নিজের পরিস্থিতির কথা জানাতে গিয়ে গলা ধরে এসেছে প্রবীণ অভিনেতার। জানিয়েছেন, বছর ২ আগে তিনি স্টার জলসার ভক্তিমূলক ধারাবাহিকে ৩ দিনের একটি চরিত্রে অভিনয় করেন। সেই সূত্রে সব্যসাচীর সঙ্গে তাঁর আলাপ। সম্প্রতি তিনি খবর পান, দুঃস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ‘সাধক বামা’। সাহায্যের আশায় তিনিও যোগাযোগ করেন। সব্যসাচী এবং ঐন্দ্রিলা ২ জনেই সাধ্যমতো সাহায্য করেছেন তাঁকে। পাশাপাশি ২ জনেই নিজেদের সামাজিক পাতায় ভাগ করে নিয়েছেন প্রবীণ অভিনেতার জীবনযন্ত্রণা। ‘‘সব্যসাচীকে নিজের কথা পোস্ট করতে বলে মরমে মরে যাচ্ছি। কোনও দিন এ ভাবে হাত পাততে হবে সবার কাছে স্বপ্নেও ভাবিনি’’, অনুযোগ অশীতিপর শঙ্করের। যদিও এই পোস্টের পরেই সবার থেকে প্রচুর সাহায্য পাচ্ছেন তিনি, এ কথাও জানাতে ভোলেননি।

প্রবীণ অভিনেতার নিজের বোন রত্না ঘোষাল। তিনি এখনও দাপিয়ে অভিনয় করছেন ছোট-বড় পর্দায়। ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকের ‘বড়মা’ হিসেবে জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন। তাঁর দাদা কাজের অভাবে রাস্তায়? অভিনেতার দাবি, বোন তাঁর হয়ে অনেক জায়গায় বলেছেন। তার পরেও ডাক পাচ্ছেন না তিনি। একমাত্র ছেলে, বৌমা আর নাতিকে নিয়ে গৌরীবাড়ির ২ কামরার নড়বড়ে ফ্ল্যাটে কোনও মতে থাকেন। গত বছর করোনার জেরে এক সঙ্গে কাজ হারিয়েছেন ছেলে-বাবা।

Advertisement

তার পর থেকেই অভিনেতা দরজায় দরজায় ঘুরছেন। নিরুপায় হয়ে হাত পাতছেন সবার কাছে। নিজেকে সান্ত্বনা দিয়েছেন এই বলে, ‘‘কাজ নেই। চুরি তো করতে পারব না। অগত্যা সবার কাছে হাত পেতে চেয়েচিন্তে যে ক’দিন পেট চালাতে পারি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement