বান্ধবীদের খোঁজে...। ছবি: ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়ের ফেসবুকের সৌজন্যে।
পুজোর একটা ভাল, আর একটা খারাপ দিক আছে আমার কাছে।
কী বললেন? পুজোর কোনও খারাপ হয় না?
আলবাত্ হয়। আমি বলছি, হতেই হবে। প্রত্যেক বছর পুজোর আগে যে হাফ ইয়ারলি পরীক্ষাটা থাকে, সেটা অত্যন্ত খারাপ ব্যাপার। তবে হ্যাঁ, পরীক্ষা শেষ আর পুজো শুরু— এ ব্যপারটা জাস্ট জমে দই। লাস্ট মোমেন্টে হুড়োহুড়ি করে জামা, জুতো কেনার একটা অন্য এক্সাইটমেন্ট রয়েছে।
আরও পড়ুন, ‘টলিউড বড় অদ্ভুত, কেউ কারও ভাল চায় না’
এ বছর আমার ক্লাস টুয়েলভ। এর পর বন্ধুরা সব ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যাব। তাই এ বছর একসঙ্গে বেরোবই। এটা ছাড়া এখনও পর্যন্ত আলাদা করে পুজোর কোনও প্ল্যান নেই। তবে বাবার তৈরি করে দেওয়া খুব ছেলেবেলার একটা অভ্যেস, যেটা এ বছরও জারি থাকবে। আসলে পাড়া থেকে আমরা হোল নাইট ঠাকুর দেখতে বেরোই। আমি, বাবা, মা, বাবার বন্ধুরা— বিরাট গ্রুপ। সামনে দুটো বাইক, পিছনে দুটো গাড়ি, সব মিলিয়ে একটা জমাটি ব্যাপার। এক দিন নর্থ, এক দিন সাউথ। সেই নিয়মের কোনও হেরফের হবে না।
আরও পড়ুন, গৌরব আমার প্রথম প্রেম নয়, বললেন ঋদ্ধিমা
বন্ধুদের কথা বলছিলাম… পাড়ার বান্ধবীরা, না না…বন্ধুরাই। যাদের সারা বছর পেত্নির মতো দেখতে লাগে, এই চার দিন তাদেরই গিয়ে কমপ্লিমেন্ট দিই, ‘ফাটিয়ে লাগছে তোকে’। আর বান্ধবীদের কথা যদি আলাদা করে বলতেই হয়, তা হলে বলি…আমার মনটা খুব বড় তো। অনেক লোক ধরে। তবে সপ্তমীতে যার সঙ্গে বেরোব অষ্টমী জানতে পারবে না। আবার অষ্টমীতে যার সঙ্গে বেরোব নবমীর পক্ষে তা জানা অসম্ভব…হা হা হা…। আসলে আমরা এত বড় গ্রুপ বেরোই, যে কে কার স্পেশ্যাল সেটা অতটা ম্যাটার করে না।
প্রস্তুতি তুঙ্গে। — নিজস্ব চিত্র।
এ বছরের পুজোয় আমার একটা বড় না পাওয়া আছে। একটা মনকেমন আছে…। আম্মা, মানে আমি আমার ঠাকুমার কথা বলছি। আগের বছরও ছিলেন। এ বছর আর নেই। বেরোতে পারতেন না। তবে বাড়িতে বসে নিউজ চ্যানেল ঘেঁটে প্রচুর ঠাকুর দেখে ফেলতেন। আমাদের আবার সে সব গল্পও করতেন। সেগুলো এ বছর আর নেই। আসলে আমার একান্ত চেনা অনেক দৃশ্যই এ বছর আর দেখতে পাব না।