মিমি চক্রবর্তী। ছবি: ফেসবুক।
অন্যায়ের প্রতিবাদে পিছপা হন না মিমি চক্রবর্তী। তিনি যখন সাংসদ হননি তখনও, আবার সাংসদ অবস্থাতেও একাধিক ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করেছেন অন্যায়ের। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের পর নায়িকা কী বলছেন, জানার জন্য উদ্গ্রীব ছিলেন তাঁর অনুরাগীরা। রবিবার মিমি এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে সরব। তিনি যে মৃতাকেই সমর্থন করছেন, সে কথা লেখেন। আরও জানান, ক্ষমার অযোগ্য এই অপরাধের কড়া শাস্তিও চাইছেন তিনি।
শুক্রবার রাত থেকে সমাজমাধ্যমে বাংলা বিনোদন দুনিয়ার খ্যাতনামীরা মুখর। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়-সহ বহু জন প্রতিবাদ জানান। সপ্তাহান্তের শেষ দিন সেই দলে শামিল মিমিও। তিনি লেখেন, “আরজি কর-কাণ্ডে অপরাধীর এমন শাস্তি হওয়া উচিত, যাতে ফের এই ধরনের জঘন্য অপরাধের কথা ভাবলেই ভয়ে মেরুদণ্ড কেঁপে ওঠে।” তাঁর মতে, এই নারকীয় ঘটনার জন্য কেউ সন্তানহারা হলেন। কারও স্বপ্ন অকালে ঝরে গেল। কোনও পরিবার অপূরণীয় ক্ষতির মুখোমুখি হল। তার পরেই তিনি মৃতার উদ্দেশে করে লেখেন, “বিষয়টি ক্ষমার অযোগ্য, তোমার পাশে আছি।”
শনিবার একই ভাবে সমাজমাধ্যমে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত লেখেন, “আর কত আঘাত পাবে পরিবারগুলো? কলেজ, হাসপাতাল কোথাও কি নিরাপত্তা নেই ? এই ভাবে মৃত্যু? কেন? কী এর ব্যাখ্যা? হতাশ আমরা ... ক্ষুব্ধ... এত অন্যায় কেন ?” তাঁর হাহাকার, “নিষ্পাপ মেয়েটি আর ফিরবে না! কী দোষ ছিল মেয়েটির? এক জন চিকিৎসকে হারালাম... এত হিংস্রতা কেন?” প্রতিবাদী বার্তার পাশাপাশি ‘বিচার চাই’ কথাটিও জ্বলজ্বল করছে প্রত্যেকের সমাজমাধ্যমে। সৃজিত লেখেন, “আমার শহর কুণ্ঠিত বড়, ক্ষমা করো তুমি মেয়ে; পুরুষ বলেই গাইছি এ গান, শুধু মার্জনা চেয়ে...”। স্বস্তিকার আর্তি, “ভাষা নেই নিন্দের। এই দোষীদের অন্তত সাজা হোক। এ বার আর মেয়েটার দোষ, সে ভুল ভাবে, ভুল সময়ে, ভুল জায়গায় ছিল বলে তার দিকে আঙুল তুলব না।” তার পরেই তাঁর প্রশ্ন, “একটা হাসপাতালেও মেয়েরা নিরাপদ নয়? যাব কোথায়?”