ঋদ্ধিমা ঘোষ না গৌরব চক্রবর্তী, কে ভূত দেখেছেন? ছবি: ফেসবুক।
তিনি ভূত দেখেননি। অলৌকিকতা বা ভৌতিক ব্যাপারে যে খুব বিশ্বাস তেমনও নয়। তার পরেও গত বছর থেকে ভূত চতুর্দশী এলেই নড়ে বসেন গৌরব চক্রবর্তী। নেপথ্য কারণ, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ভৌতিক সিরিজ়। ‘পর্ণশবরীর শাপ’ ওয়েব সিরিজ় দর্শকের পছন্দ হওয়ায় এ বছর বিশেষ দিনে তার দ্বিতীয় ভাগ আসতে চলেছে। দুটো সিরিজ়ে অভিনয় এবং তার দৌলতে রাতবিরেতে নানা জায়গায় শুটিং। তার পরেও কোনও অলৌকিক অভিজ্ঞতা হয়নি গৌরবের?
জানতে অভিনেতার মুখোমুখি হয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। তাঁর দাবি, “আমি ভূত দেখিনি। কিন্তু আমার স্ত্রী জীবনে অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে।” জানিয়েছেন, তাঁর অভিনেত্রী স্ত্রী ঋদ্ধিমা ঘোষ নাকি ভূত দেখেছেন! গৌরবের কথায়, “আমার কপাল ভাল। কোনও দিন অশরীরীর মুখোমুখি হইনি। কিন্তু একবার আমরা এক বন্ধুর বাড়ি গিয়েছিলাম। সেখানে ঋদ্ধিমার সঙ্গে একটি ঘটনা ঘটেছিল।” ছুটির দিনে বন্ধুর বাড়িতে সকাল সকাল পৌঁছে গিয়েছিলেন অভিনেতা দম্পতি। সঙ্গী অভিনেত্রী অনিন্দিতা বসু। বাড়ির ঠাকুর দালানে বসে সকলে মিলে আড্ডা দিচ্ছেন। একটা সময় পরে দুই অভিনেত্রী ক্লান্ত বোধ করায় অন্য ঘরে বিশ্রাম নিতে যান। সেই ঘরে হঠাৎ তাঁদের সামনে এক ব্যক্তি উপস্থিত!
দু’জনের একজনও টের পাননি, যিনি এসেছিলেন তিনি ইহলোকের বাসিন্দা নন। দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর আবার আড্ডা জমে ওঠে। কথায় কথায় ওই ব্যক্তির প্রসঙ্গ ওঠে। অনিন্দিতা-ঋদ্ধিমা উভয়েই জানান, অন্যদের বার কয়েক দেখলেও সারা দিনে ওই ব্যক্তিকে আর দেখতে পাননি তাঁরা। গৌরবের বন্ধু তখন সেই ব্যক্তির বর্ণনা দিতে বলেন। অভিনেত্রীদের থেকে নির্দিষ্ট ব্যক্তির চেহারার বর্ণনা শুনে তাঁর মুখ রীতিমতো শুকিয়ে আমসি! সঙ্গে সঙ্গে ছবি এনে দেখাতেই অভিনেত্রীরা তাঁকে চিনতে পারেন। বাড়ির মালিকের দাবি, “ইনি কী করে আসবেন! ইনি তো অনেক বছর আগে মারা গিয়েছেন। আমাদের কাছে ফিরে আসতেই পারেন না।” এবং অভিনেত্রীরা চেহারার যে বর্ণনা দিয়েছেন সেটি বেশি বয়সের। ওই বয়সের আগেই তিনি মারা গিয়েছেন। ফলে, তাঁর ওই চেহারা কেউ দেখেনইনি!
এই ঘটনা জানিয়ে গৌরবের প্রশ্ন, সে দিন কি তা হলে ঋদ্ধিমা-অনিন্দিতার সঙ্গে কোনও অশরীরীর সাক্ষাৎ হয়েছিল?