Kali Puja 2024

আমি উপোস করতেই পারি না, খিদে পেয়ে যায়! দীপাবলিতে মায়ের সঙ্গে আলো জ্বেলে সারা বাড়ি সাজাই

ভক্তি ভরে বাড়িতেই দেবী কালীর আরাধনা করেন। এর থেকে বেশি ভাল মন্দিরের খোঁজ নেই অভিনেত্রীর কাছে।

Advertisement

রুক্মিণী মৈত্র

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:৪৮
Share:

অন্তর থেকে মাকে ডাকেন রুক্মিণী মৈত্র। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

আমাদের বাড়ির সকলে কৃষ্ণভক্ত। আমিও বাড়ির ধারা মেনে ছোট থেকেই শ্রীকৃষ্ণের পূজারি। তার মানে কালীভক্ত নই, তা নয় কিন্তু। আমার চোখে এই দেবী শক্তির প্রতীক। তাই ওঁকে ভক্তি করি, ভালবাসি। আর সেই জন্যই সম্ভবত আমার এ বারের দীপাবলি দুর্গাপুজোর সময় থেকেই আলোয় ঝলমলে। বলতে পারেন, এ বছরটাই তাই। বছরের শুরুতে বিদ্যুৎ জামওয়ালের একটি ছবিতে প্রথম আইটেম গানে নাচলাম। তার পর ‘ব্যুমেরাং’ ছবিতে ‘রোবট গার্ল’-এর ভূমিকায় অভিনয়। সেটাও দর্শকের ভাল লেগেছে। পুজোয় ‘টেক্কা’ ব্লকবাস্টার। দেবীর আশীর্বাদ ছাড়া এক বছরে এত ভাল সম্ভব?

Advertisement

এই পর্যন্ত পড়ে মনে হতেই পারে, আমি নিশ্চয়ই কালীপুজোয় উপোস করি! অঞ্জলি দিই।

না, আমি উপোস করি না। আসলে, না খেয়ে থাকতেই পারি না। তবে কোনও মন্দিরে পুজো দিতে গেলে নিশ্চয়ই সেই সময়টুকু না খেয়ে থাকার চেষ্টা করি। কালীপুজোয় আমার যাবতীয় যা আরাধনা সবটাই বাড়িতে। আমার মতে, শুদ্ধ মনে বাড়ির মন্দিরেই যদি জোড়হাতে মায়ের সামনে দাঁড়াই তিনি সাড়া দেবেন। মন শুদ্ধ রাখা সবচেয়ে জরুরি।

Advertisement

কালীপুজো আলোর উৎসব। মায়ের সঙ্গে আলো জ্বেলে সারা বাড়ি সাজাই। তবে আমার শব্দবাজি মোটে ভাল লাগে না। আমরা প্রত্যেকেই জানি তা-ও এক বার স্মরণ করিয়ে দিই, পরিবেশের জন্য শব্দবাজি ক্ষতিকারক। পশুপাখি তো বটেই, প্রবীণ বা অসুস্থ নাগরিকদের জন্যও অসুবিধাজনক। তাই আনন্দবাজার অনলাইনের মাধ্যমে সকলের প্রতি আমার অনুরোধ, পারলে আলোর বাজি পোড়ান। শব্দবাজি এড়ান। আর একটা কথা, আমি কিন্তু চোদ্দ শাক খাই না। তার পরেও কোনও অলৌকিক অভিজ্ঞতা আজ পর্যন্ত হয়নি। ভাগ্যিস হয়নি! আমার যে বেজায় ভূতে ভয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement