আশিস বিদ্যার্থী। —ফাইল চিত্র।
বিয়ের পর আমাদের প্রথম পুজো। মুম্বইয়ে রূপালির প্রথম পুজো। পঞ্চমী থেকে উদযাপনে মেতেছি। ওই দিন আমরা পশ্চিম মালাডের ‘ভূমি পার্ক দুর্গোৎসব’ উদ্বোধন করলাম। অনেক দিন পরে ধুনুচি নাচ নেচে দিল খুশ! প্রত্যেক বছর অবশ্য এই পুজোয় আমি থাকি। এ বছর বাড়তি আনন্দ আমার পাশে রূপালি। এক চালার দুর্গা প্রতিমা দেখে ও খুব খুশি। আমি খুশি এই পুজোর হাত ধরে ছেলেবেলা ফিরে পাওয়ায়।
আমার ছেলেবেলা দিল্লির করোলাবাদে যত্নে রাখা। মনে পড়ে, কলেজ সেরেই পুজো মণ্ডপে ছুটতাম। খুব ঢাক বাজাতাম। পর্দা টাঙিয়ে সিনেমা দেখানো হত। আর অঞ্জলি, দেবীর ভোগ। জানেন, আমিও রান্নায় হাত লাগাতাম। যে দিন ভোগ রান্না সে দিন সকালে হাতা-খুন্তি নিয়ে পৌঁছে যেতাম নির্দিষ্ট স্থানে। খিচুড়ি, লাবড়ায় মিশে যেত হাসি-ঠাট্টার পাঁচফোড়ন। রান্না আরও সুস্বাদু হত। প্রায় প্রত্যেক দিন বড় গাড়ি ভাড়া করে সারা শহর চষে ফেলতাম। কপাল খারাপ, একটা প্রেম আসেনি জীবনে! কী করে হবে? দিল্লিতে পাড়া কালচার। সবার নজরেই বেলা কেটে গেল! পুজো প্রেম হলই না।
সেই অভাব এ বছর মিটিয়ে নিচ্ছি। ষষ্ঠীতেও আমি আর রূপালি মু্ম্বইয়ে থাকব। আমাদের ‘স্ট্যান্ডআপ কমেডি’ রয়েছে। সপ্তমী থেকে দেশভ্রমণ শুরু। দেরাদুন থেকে শুরু। পঞ্জাব হয়ে সর্বত্র ঘুরব। রূপালি খুব আনন্দে রয়েছে। যেখানে যাচ্ছে সেখান থেকেই কিছু না কিছু স্থানীয় গয়না কিনছে। পঞ্চমীর দিন আমরা নিজেদের প্রদেশের পোশাক পরে সেজেছিলাম। কেরলের মুণ্ডা পরেছি। রূপালি আগের দিন অসমের মেখলা পরেছিল। ষষ্টীতে সেজেছে শাড়িতে। প্রেম করে বিয়ে করলে বয়সটা যেন পিছু হাঁটতে থাকে। এ বছরের পুজো সেটাই বুঝিয়ে দিল।