আক্ষরিক অর্থেই, জ্ঞান হওয়ার আগে থেকেই তিনি বিনোদন দুনিয়ার মুখ। এক বছর দু’মাস বয়সে তাঁকে দেখা গিয়েছিলে ফ্যারেক্স বেবি ফুডের বিজ্ঞাপনে। তারপর শিশুশিল্পী হিসেবেও এসেছে সুনাম এবং পরিচিতি। কিন্তু গোটা কেরিয়ারে ‘চকোলেট বয়’ ভাবমূর্তি ছেড়ে আর বেরোতে পারেননি আফতাব শিবদাসানি। (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
আফতাবের জন্ম ১৯৭৮-এর ২৫ জুন। তাঁর বাবা প্রেম শিবদাসানি সিন্ধি সম্প্রদায়ের। মা, পুতিল পার্সি পরিবারের মেয়ে। সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের পরে এইচআর কলেজ থেকে বাণিজ্যে স্নাতক হন আফতাব। (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
বেশ কিছু বিজ্ঞাপন ছাড়াও শৈশবে আফতাবকে দেখা গিয়েছিল বেশ কিছু হিন্দি ছবিতেও। তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’, ‘চালবাজ’ এবং ‘ইনসানিয়ত’ ছবিতে। ‘শাহেনশা’ ছবিতে তিনিই ছিলেন অমিতাভ বচ্চনের শৈশবের ভূমিকায়। (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
মডেলিং চলতে থাকে উনিশ বছর বয়স অবধি। তারপরই তিনি সুযোগ পান রামগোপাল ভার্মার ছবি ‘মস্ত’-এ। কলেজপড়ুয়া আফতাবের বিপরীতে নায়িকা ছিলেন ঊর্মিলা মাতণ্ডকর। ২০০০ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটি ছিল সুপারহিট। (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
তার পরের বছরই আফতাব অভিনয় করেন খলনায়কের ভূমিকায়। বিক্রম ভট্টের পরিচালনায় ‘কসুর’ ছবিতে। এই ছবিটিও বক্সঅফিসে সাফল্য পায়। পরপর দু’টি ছবি হিট হওয়ার পরে আফতাবের কেরিয়ার ধাক্কা খায়। পরপর বেশ কিছু ছবি মুখ থুবড়ে পড়ে। (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
‘লভ কে লিয়ে কুছ ভি করেগা’, ‘কোই মেরে দিল সে পুছে’, ‘ক্যায়া ইয়েহি প্যায়ার হ্যায়’ সে ভাবে সফল হয়নি। তারপর ওঠাপড়া নিয়েই এগোতে থাকে আফতাবের কেরিয়ারগ্রাফ। (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
তাঁর কেরিয়ারে ‘ডরনা মানা হ্যায়’, ‘হাঙ্গামা’, ‘মুসকান’, ‘নিশব্দ’, ‘ওম শান্তি ওম’, ‘দশ কহানিয়াঁ’, ‘লাইফ মেঁ কভি কভি’, ‘কমবখত ইশক’ উল্লেখযোগ্য ছবি। তবে ২০০৭-এর পর থেকেই আফতাবের কেরিয়ারগ্রাফ আচমকাই নামতে থাকে দ্রুত গতিতে। (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
তিনি ছবি করা কমিয়ে দেন। এমনও সময় গিয়েছে, যখন এক বছরে আফতাবের একটা ছবিও মুক্তি পায়নি। ব্যক্তিগত জীবনেও দেখা দেয় টানাপড়েন। (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
ইন্ডাস্ট্রিতে আফতাবের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বিক্রম ভট্ট। তাঁকে ‘মেন্টর’ বলে মানেন আফতাব। বিক্রমের অভিযোগ, আফতাবের জীবন ব্যাহত হয় আমনা শরিফের জন্য। আফতাবকে নাকি নিজের প্রয়োজনে ‘ব্যবহার’ করেছিলেন আমনা। পরে আমনা বিয়ে করেন প্রযোজক অমিত কপূরকে। (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
আমনার কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরে আফতাবের জীবনে আসেন নিন দুসাঞ্জ। তাঁকেই আফতাব বিয়ে করেন ২০১৪ সালের ৫ জুন। একান্ত ঘরোয়া সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন শুধুই দুই পরিবারের সদস্যরা। (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
পঞ্জাবি পরিবারের মেয়ে নিনের বড় হওয়া লন্ডনে। তারপর তিনি ছিলেন হংকং-এ। নিন কর্মরত অ্যাডভার্টাইজিং ও ব্র্যান্ডিং-এ। (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
আফতাবের জীবনে অভিনব দিক হল একই স্ত্রীকে দু’বার বিয়ে করা। ২০১৭ সালের অগস্টে নিনকে আবার বিয়ে করেন আফতাব। প্রথমবার তাঁদের বিয়ে হয়েছিল ঘরোয়া ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। দ্বিতীয়বার তাঁদের বিয়ে হয় শ্রীলঙ্কায়। (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
শ্রীলঙ্কায় তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়রা। হাতির পিঠে চড়ে বিয়ের আসরে হাজির হন আফতাব। পাল্কিতে করে আসেন নিন। ডিজাইনার যোশিতার লেহেঙ্গায় সেজেছিলেন নিন। আফতাবের পরনে ছিল ট্রয় কোস্টার ডিজাইন করা শেরওয়ানি। (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)
আফতাবের আগামী ছবি ‘টম ডিক হ্যারি ২’-র মুক্তি আসন্ন। অভিনয়ের পাশাপাশি ছবি প্রযোজনাও করেন তিনি। ২০০৯ সালে মুক্তি পায় আফতাব প্রযোজিত ছবি ‘আও উইশ করেঁ’। (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)