আবীর চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
গোয়েন্দা হিসাবে তিনি দারুণ হিট! কিন্তু প্রেমের ছবিতে, বিশেষ করে ত্রিকোণ প্রেমের ছবিতে কখনওই যেন নায়িকারা তাঁকে শেষমেশ বেছে নেন না। বরাবরই তাঁরা অন্য নায়কের সঙ্গে চলে যান। এই ঘটনা ঘটেছে একাধিক ছবিতে। আনন্দবাজার অনলাইনকে রসিকতা করে আবীর চট্টোপাধ্যায় জানালেন, এ বার পরিচালক-লেখকদের বিষয়টা নিয়ে ভাবতে বলবেন। হাসতে হাসতে আবীর বললেন, ‘‘দর্শকও কিন্তু বার বার মেনে নেন যে, আমার ভাগ্যে নায়িকা না জুটলেও চলবে! এটা ঠিক হচ্ছে না।’’
সদ্য মুক্তি পেয়েছে আবীরের নতুন ছবি ‘বিয়ে বিভ্রাট’। ত্রিকোণ প্রেমের গল্প হলেও আর পাঁচটা গতে বাঁধা প্রেমের গল্পের চেয়ে খানিক আলাদা এই ছবি। তাই দর্শক বেশ পছন্দ করেছেন রাজা চন্দ পরিচালিত এই ছবি। গল্প অবশ্য লিখেছিলেন ছবির আরও এক নায়ক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। সেই ২০১৫ সালে। সাত বছর পর পর্দায় রূপ পেল তাঁর এই ভাবনা। যদিও সে ভাবনা গত কয়েক বছরে অনেক বার বদলেছে। গল্পের শেষ পাল্টে প্রথমে আবীরকেই বলেছিলেন পরমব্রত। কারণ প্রথম থেকেই ঠিক ছিল, তাঁরা দু’জনে ছবিটি করবেন। গল্প পাল্টেছিল বলেই ২০২৩ সালে ছবিটি অন্য প্রেমের গল্পের চেয়ে একটু অন্য রকম হয়ে উঠতে পেরেছে। প্রেমের পাশাপাশি ছবিতে ফুটে উঠেছে পরব্রত এবং আবীরের বন্ধুত্বও। এ প্রসঙ্গে আবীর বললেন, ‘‘পরম আর আমি যত বার পর্দায় একসঙ্গে এসেছি দর্শক বেশ পছন্দ করেছেন। ‘২২শে শ্রাবণ’-এ সে ভাবে একসঙ্গে সিন ছিল না আমাদের। কিন্তু পরে ‘বাস্তুশাপ’ বা ‘শাহজাহান রিজেন্সি’তে আমাদের দেখে দর্শক উপভোগ করেছিলেন। সাধারণত নায়ক-নায়িকার জুটি হিট হয়। দুই নায়কের জুটিও যে হিট হতে পারে, তা দেখে ভাল লাগছে।’’
প্রেমের গল্প নাকি টলিউডে এখন আর চলে না। আবীর স্বীকার করে নিলেন, ‘‘বাঙালির আদ্যোপান্ত প্রেম রয়েছে থ্রিলারের সঙ্গে। সে সব ছবি তো হচ্ছে। কিন্তু হাসির হালকা মেজাজের ছবিও তো তৈরি হওয়া উচিত। সকলে বড্ড সিরিয়াস হয়ে গিয়েছেন।’’ বহু দিন পর তাই ‘রমকম’ জাতীয় ছবিতে অভিনয় করতে পেরে বেশ খুশি আবীর। বিশেষ করে গানের সঙ্গে ঠোঁট মেলাতে পেরে। কারণ তিনি যে ঘরানার ছবি করেন, সেখানে সাধারণত এই সুযোগ পাওয়া যায় না। শুধু এর পর থেকে তাঁর নায়িকা-ভাগ্যে একটু বদল আনতে পারলেই ষোলো কলা পূর্ণ!