‘চণ্ডীগড় করে আশিকি’
রূপান্তরকামীর চরিত্রে এমনই এক মহিলা শিল্পী (বাণী কপূর), যিনি নিজেকে মহিলা হিসেবেই পরিচয় দিতে চান এবং কামনা করেন এক জন পুরুষকে। রূপান্তরকামী মানুষের চরিত্রে রূপান্তরকামী শিল্পীকে অভিনয় করার সুযোগ দেওয়া হল না কেন? অভিষেক কপূর পরিচালিত ‘চণ্ডীগড় করে আশিকি’ ছবির খবর বাইরে প্রকাশ পেতেই নানাবিধ প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে পরিচালককে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক সেই সমালোচনার জবাব দিয়েছেন, ‘‘ভেবেছিলাম। বাণীর চরিত্রে রূপান্তরকামী শিল্পীর কথাই মনে হয়েছিল। কিন্তু তখন একটি প্রবণতা লক্ষ করি। কেবল অভিনেতা-অভিনেত্রীর ক্ষেত্রেই বিপ্লবের কথা আসে। কেন? এক জন চিত্রনাট্যকার, পরিচালকের ক্ষেত্রে এই প্রশ্নটা ওঠে না কেন? এক জন রূপান্তরকামী কি ছবিটির চিত্রনাট্য লিখতে পারেন না? নির্দেশনা দিতে পারেন না?’’
অভিষেকের মতে, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ছবি বানান না। লেখক-লেখিকা এবং পরিচালক ছবি বানান। অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সেই গল্পটিকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলেন। গল্পই আসল।
অভিষেক বললেন, ‘‘এলজিবিটিকিউ-কে (প্রান্তিক যৌনতার মানুষের সমষ্টি) একই সমষ্টিতে ফেলা হয় ঠিকই কিন্তু ‘টি’ অর্থাৎ রূপান্তরকামীদের একেবারে আলাদা করে দেখা উচিত। মহিলা সমকামী (এল) বা পুরুষ সমকামীদের (জি) কথা বললে মূলত বোঝানো হয়, কোন লিঙ্গের মানুষকে তারা কামনা করে। কিন্তু রূপান্তরকামীদের মনের ভিতরের অজস্র টানাপড়েন থাকে। গবেষণা করে এই জিনিসগুলি আমি বুঝেছি।’’