জীবনে ব্যর্থ হয়েছেন বহু বার? অল্পের জন্য কানের পাশ দিয়ে ছিটকে গিয়েছে সাফল্য? আমির খানের সঙ্গেও এমনটা হয়েছে কেরিয়ারের শুরুতে। অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়েছিল আইকনিক বলিউড ছবি ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’তে সহ-পরিচালনার কাজ।
অভিনয় নয়, প্রথম থেকেই আমিরের শখ ছিল পরিচালক হওয়ার। সে মতোই চলছিল প্রস্তুতি। পরিচালক নাসির হুসেন ছিলেন তাঁর কাকা।
শেখর কপূর যখন অনিল কপূর এবং শ্রীদেবীকে নিয়ে ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ বানানোর কথা ঘোষণা করেন, আমির খান নিজে থেকেই ওই ছবিতে সহ-পরিচালকের কাজ করার ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন প্রযোজক বনি কপূরকে ।
একে হাই বাজেট ছবি। এরই মধ্যে শ্রীদেবীর মতো অভিনেত্রী। এই সুযোগ ছাড়া যায়? সব ঠিক হয়ে গিয়েছিল। রাজি হয়ে গিয়েছিলেন বনি কপূরও। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাদ পড়ে যান মিস্টার পারফেকশনিস্ট।
আমিরের বাদ পড়ার পিছনে কিন্তু প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন আর এক অভিনেতা, যিনি একই সঙ্গে পরিচালকও। তিনি কে জানেন?
তিনি হলেন বলি-পাড়ার অতি পরিচিত মুখ সতীশ কৌশিক। কিন্তু কেন এমনটা করেছিলেন সতীশ? আর বনিই বা মেনে নিয়েছিলেন কী করে?
জানা যায়, 'মিস্টার ইন্ডিয়া' ছবিতে আর এক সহ-পরিচালকের ভূমিকায় ছিলেন সতীশ। ওই ছবিতে এক উল্লেখযোগ্য চরিত্রেও অভিনয় করছিলেন তিনি। বনির মুখে আমিরের কাজ করার কথা শুনেই সতীশ ভাবেন যেহেতু আমিরের পরিবারের অধিকাংশই সিনেমা জগতের সঙ্গে যুক্ত, তাই সব বিষয়ে আমিরের অনেক দাবি থাকবে।
বায়নাক্কা করবেন তিনি। রোজই নতুন নতুন আবদার নিয়ে হাজির হবেন। এ দিকে সে সময় সতীশের সঙ্গে বেশ ভাল সম্পর্ক বনির। তাই কাছের বন্ধুর পরামর্শে তিনিও আমিরকে বাদ দিয়েই ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ করায় রাজি হয়ে যান। সপ্নভঙ্গ হয় আমিরের।
যদিও তাতে আমিরের বিশেষ ক্ষতি হয়নি। প্রাথমিক ভাবে ধাক্কা খেলেও অচিরেই কামব্যাক করেন তিনি। তবে এ বার অভিনেতা হিসেবে। আজ তাঁর খ্যাতি বিশ্বজোড়া।