‘লাল সিংহ চড্ঢা’-র শ্যুটিং নিয়ে চূড়ান্ত ব্যস্ত আমির খান। লকডাউনের জন্য ছবি মুক্তি পিছিয়ে গিয়েছে। শ্যুটিংও সম্পূর্ণ হয়নি। এর মাঝেই আবার করিনা কপূর দ্বিতীয় সন্তানের জন্মও দিয়েছেন। এই ছবিতে তিনিও রয়েছেন। তাই শ্যুটিং শেষ করে কবে মুক্তি পেতে চলেছে ছবিটি তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
এত ব্যস্ততার মধ্যে সোমবার সকালে আমিরকে মুম্বইয়েই বান্দ্রার পালি হিল এলাকায় দেখা যায়। ওই এলাকায় নাকি তিনি একটি নতুন অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে গিয়েছিলেন। পালি হিলের একটি বহুতলের ১৮ তলায় অ্যাপার্টমেন্ট কিনছেন তিনি।
মু্ম্বইয়ে এটিই আমিরের প্রথম এবং একমাত্র অ্যাপার্টমেন্ট নয়। মু্ম্বই এবং পঞ্চগনি মিলিয়ে আমিরের একাধিক সম্পত্তি রয়েছে।
মু্ম্বইয়ের বান্দ্রাতেই তাঁর আরও একটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। খোলামেলা বিশাল ব্যালকনিতে দাঁড়ালে যেন গোটা মুম্বই শহর চোখে ধরা দেয়।
এই অ্যাপার্টমেন্টে আলাদা একটি ঘর রয়েছে বিনোদনের জন্য। যার দেওয়ালে লাগানো বড় মাপের একটি টিভি। পরিবারের সঙ্গে বসে সিনেমা দেখা, গান শোনা কিংবা নেহাত গল্প করা— সবই চলে এই ঘরে।
অ্যাপার্টমেন্টের দেওয়াল জুড়ে নানা কারুকার্য আঁকা। এই অ্যাপার্টমেন্ট-এ ঢুকলে একঘেয়ে জীবন নিমেষে গায়েব হয়ে যাবে।
আমিরের খুব পছন্দের জায়গা বারান্দা। আরাম করার জন্য ছোট একটি বিছানাও রাখা রয়েছে সেখানে। শুয়ে শুয়েই শহরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারা যাবে এখান থেকে।
এটা ছাড়াও শুধু মু্ম্বইয়ের এই পালি হিলেই আরও তিনটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে তাঁর! যার মধ্যে দুটো রয়েছে মারিনা সমুদ্রসৈকতে এবং তৃতীয়টি রয়েছে বেলা ভিস্তা অ্যাপার্টমেন্ট-এ।
এ ছাড়াও সান্তা ক্রুজ ওয়েস্ট-এ অফিসের জন্য একটি বড় ফ্ল্যাটও রয়েছে তাঁর। মুম্বই তাঁর কাজের জায়গা। সে কারণে বেশিরভাগ সম্পত্তি রয়েছে মু্ম্বইয়েই।
এর বাইরে পঞ্চগানিতে তাঁর একটি ফার্ম হাউস রয়েছে। ব্যস্ত শহুরে জীবন থেকে মুক্তি পেতে যা আদর্শ।
চারদিকে পাহাড়ে ঘেরা। তার মাঝে দুই একর জমি নিয়ে তৈরি হয়েছে ফার্ম হাউসটি। সবুজে ভরপুর এ বাড়ি প্রকৃতির কাছে থাকার সুযোগ করে দেয়।
পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের প্রায়ই আমন্ত্রণ জানানো হয় এই বাড়িতেই। সবাই মিলে আনন্দ করে কাটান ছুটির দিনগুলি।
তবে অন্যান্য অনেক তারকার মতো আমিরের বিদেশে কোনও সম্পত্তি নেই। এক সাক্ষাৎকারে আমির নিজে জানিয়েছেন, বিদেশে বাড়ি কিনতে তাঁর বা স্ত্রী কিরণের কোনও আগ্রহ নেই। তাঁরা দেশে থাকতেই পছন্দ করেন।