সুরকার এআর রহমান। ছবি: সংগৃহীত।
১০ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ের শহরতলীতে অবস্থিত ইস্ট কোস্ট রোডের আদিত্যরাম প্যালেস সিটিতে আয়োজিত হয় এআর রহমানের সঙ্গীতের অনুষ্ঠান। তাঁর শো দেখতে উপচে পড়ে গোটা শহর। ভিড় জমতে থাকে বিকেল ৪টে থেকে। আসনসংখ্যার থেকেও বেশি মানুষের জমায়েতের কারণে শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। বেশ কয়েক জনের পদপিষ্ট হওয়ার খবর শোনা যায়। শো দেখতে এসে বিপাকে পরেন দর্শকেরা। টিকিট কেটেও ভিতরে ঢুকতে পারেননি অসংখ্য অনুরাগী। শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন মহিলারা। এক কথায় সঙ্গীত সন্ধ্যা নিমেষে বদলে যায় দুঃস্বপ্নের রাতে। এই ঘটনায় এ বার ময়দানে নামলেন খোদ এআর রহমান। জানালেন, টিকিট কেটেও যাঁরা ঢুকতে পারেননি, তাঁদের টাকা ফিরিয়ে দেবেন।
এ আর রহমান এ দিন নিজের এক্স (সাবেক টুইটার)-এ একটি পোস্টে লেখেন, ‘‘চেন্নাইয়ের অনুষ্ঠানের দর্শকেরা যাঁরা টিকিট কেটেও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি এবং ঘটনার জন্য শো দেখতে পারেননি, ভিতর পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারেননি, তাঁদের অনুরোধ করব তাঁরা যেন টিকিটের কপি শেয়ার করেন। নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে এখানে মেল করুন। আমাদের টিম যত দ্রুত সম্ভব আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নেবে।’’ অস্কারজয়ী সঙ্গীত পরিচালক যেমন অনুরাগীদের টাকা ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছেন, তেমনই নিজেকে ‘বলির পাঁঠা’ বললেন।
রহমান পুনরায় একটি টুইট করে লেখেন, ‘‘লোকে আমাকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ, ইংরেজিতে গ্রেটেস্ট অফ অল টাইম (জি.ও.এ.টি. বা গোট) বলেন। এ বার না হয় ‘বলির পাঁঠা’ হলাম। যাতে এই অভিজ্ঞতা থেকে সকলে সচেতন হন এবং চেন্নাইয়ের লাইভ অনুষ্ঠানে আরও উন্নতমানের পরিষেবা দেওয়া হয়, ট্যুরিজম বাড়ে, উদ্যোক্তাদের ভিড় সামলানোর দক্ষতা বাড়ে, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট আরও ভাল হয়। মহিলা এবং শিশুদের নিরাপত্তার দিকটাও সঠিক ভাবে খেয়াল রাখতে হবে।”
রহমানের এ দিনের অনুষ্ঠানে ২০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত টিকিট ভাগ করা থাকলেও, আলাদা কোনও জ়োনের বন্দোবস্ত না থাকায়, বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির তৈরি হয়ে এই অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে।