‘মহানগরী থেকে দূরে’ ছবির একটি দৃশ্যে ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
সময়ের সঙ্গে পট পরিবর্তন হলেও স্থান-কাল নির্বিশেষে সমাজে নারীর অবস্থান কি খুব একটা পরিবর্তিত হয়? তাই বিন্দু বা মৃণালের মতো চরিত্রদের হয়তো আজও আমাদের চারপাশে দেখা যায়। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর ‘পরাধীনতা’র অন্ধকার দিককে ‘স্ত্রীর পত্র’ ছোট গল্পে তুলে ধরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই গল্প থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি হয়েছে একটি বাংলা ছবি। নাম ‘মহানগরী থেকে দূরে’। পরিচালনায় শ্বেতা বসু এবং অয়ন সেন।
এর আগে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি এবং একাধিক তথ্যচিত্র তৈরি করেছেন পরিচালকদ্বয়। প্রথম ছবির জন্য এই বৈগ্রহিক গল্প থেকেই রসদ সংগ্রহ করলেন কেন? শ্বেতা বলছিলেন, ‘‘প্রায় একশো বছর আগের লেখা একটা গল্প। কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনও প্রাসঙ্গিক। নারীদের সামাজিক অবস্থানের কথা চিন্তা করেই বেছে নেওয়া।’’ ১৯৭২ সালে ‘স্ত্রীর পত্র’ ছবি পরিচালনা করেন পূর্ণেন্দু পত্রী। সেই ছবিতে মৃণালের চরিত্রে অবিনয় করেছিলেন মাধবী মুখোপাধ্যায়। শ্বেতা বললেন, ‘‘ওই ছবিটা ছিল মূল গল্পের অনুকরণ। আমরা তার নির্যাসটুকু নিয়েছি। বাকিটা কিন্তু আলাদা।’’
‘মহানগরী থেকে দূরে’ ছবির একটি দৃশ্যে সহ-অভিনেত্রীর সঙ্গে জয় সেনগুপ্ত। ছবি: সংগৃহীত।
এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, জয় সেনগুপ্ত, শ্রাবণী ঘোষ, সুমিতা চট্টোপাধ্যায়, লিলি চক্রবর্তী, তমাল রায়চৌধুরী, পার্থসারথি দেব প্রমুখ। সঙ্গীত পরিচালনায় সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়। শুটিং হয়েছে চন্দননগর এবং উত্তরবঙ্গে। ছবিটি আগামী ১৯ মে মুক্তি পাওয়ার কথা।