ছবির একটি দৃশ্যে চৈতি, পরাণ এবং ভাস্কর।
পুরনো আসবাব অনেকটা পুরনো স্মৃতির মতো। পরতে পরতে জড়িয়ে থাকে ভালবাসার স্পর্শ। তেমনই এক পুরনো আসবাবের গায়ে জড়িয়ে থাকা, তাকে জাপ্টে বাঁচতে থাকা মানুষদের ফ্রেমবন্দি করেছেন পরিচালক প্রণব মুখোপাধ্যায়। তাঁর আসন্ন ছবি ‘কলের গান’- মুক্তি পাবে ২০১৯-এর জানুয়ারিতে।
চিত্রনাট্য অনুযায়ী চন্দ্রকান্তর (পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়) একটি গ্রামাফোনরয়েছে। তার নবগুলো নষ্ট হয়ে গেলেও সেই পুরনো যন্ত্রকে ঘিরেই জীবনযাপন তাঁর। পুত্রবধূ সুমিত্রার (চৈতি ঘোষাল) আবার এ ব্যবস্থা একেবারেই পছন্দ নয়। সারাক্ষণ কলের গান বাজছে বলে তাঁর বিরক্তিই লাগে। ওদের বাড়ি নিয়েও বন্ধুরা মজা করে। কারণ চন্দ্রকান্তের মতো মধ্যবিত্তের পরিবারের এই জিনিসের তেমন কদর নেই।
হঠাত্ করে সেই কলের গানের এক ক্রেতা আসেন চন্দ্রকান্তর বাড়িতে। যে অঙ্কের বিনিময়ে তিনি কিনতে চান, সেটা মধ্যবিত্ত সংসারে কল্পনারও বাইরে। সুমিত্রা মনে করে ও জিনিস বিক্রি করে দেওয়াই উচিত। চন্দ্রকান্তর কাছ থেকে চলে যায় কলের গান। পরে সুমিত্রা বুঝতে পারেন,আধুনিক সমাজে যা কিছু পুরনো সেটা সরিয়ে ফেলাটা সব সময় ঠিক নয়।
আরও পড়ুন, গায়ক অনির্বাণের ডেবিউ ‘শাহজাহান রিজেন্সি’তে
চৈতির কথায়, ‘‘উচ্চগ্রামের চরিত্র খুব কম করেছি। টেলিভিশনে‘জামাই রাজা’ খুব পপুলার হয়েছিল। পজিটিভ, নেগেটিভ দুটোই ছিল সেখানে। আসলে আমাদের সমাজটা এমনই। সুমিত্রার মতো চরিত্র একেবারে করিনি তা নয়। তবে এর মধ্যে অনেক দিক রয়েছে। ডায়নামিক ক্যারেক্টার। পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনেকদিন বাদে অভিনয় করলাম। নিটোল গল্প। এ ছবি অনেকটা নস্টালজিক বাংলা ছবির কথা বলে।’’চৈতির স্বামীর চরিত্রে ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিনয় সমৃদ্ধ করবে এই ছবিকে।
আরও পড়ুন, ‘অভিমান’-এর ছায়া, তিয়াশা-সুবানের সম্পর্কে ফাটল?
আসলে ‘কলের গান’-এর মতো পুরনো চরিত্রদেরও আজকের সমাজ বাতিল করে দিচ্ছে। সমাজের মূলস্রোত থেকে সরিয়ে আগাছার মতো রেখে দেওয়া হয়েছে। ক্রমশ দূরত্ব বা়ড়তে থাকায় আমরা অনেক সময় ভুলে যাই এই ‘কলের গান’ অনেক সুখ দুঃখের দিনের কথা বলে। সুশীল শর্মা, প্রীতম সিংহের প্রযোজনায় এই বার্তাই দিতে চেয়েছেন পরিচালক।
(মুভি ট্রেলার থেকে টাটকা মুভি রিভিউ - রুপোলি পর্দার সব খবর জানতে পড়ুন আমাদের বিনোদন বিভাগ।)