এল অর্থাৎ দ্য। ক্লাসিকো অর্থাৎ ক্লাসিক। দুটো শব্দকে একসঙ্গে জুড়ে দিলে পাওয়া যাবে বিশ্বফুটবলের অন্যতম সেরা যুদ্ধ। যুগের পর যুগ যে ম্যাচ উপহার দিয়েছে নানা রোমাঞ্চকর মুহূর্ত। যে ম্যাচে খেলেছেন আলফ্রেদ দি’স্তেফানো থেকে দিয়েগো মারাদোনা, জিনেদিন জিদান থেকে রোনাল্ডিনহো বা আজকের লিওনেল মেসি-ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। যে ম্যাচে নজর শুধু স্টেডিয়ামে বসে থাকা সত্তর হাজার সমর্থকের না। যে ম্যাচের দর্শক গোটা পৃথিবী।
আগামী ২২ মার্চ আবার সেই দিন। যে দিন স্পেন ভাগ হবে দু’টো অংশে। এক দিকে থাকবে রাজকীয় রিয়াল মাদ্রিদ। আর এক দিকে থাকবে কাতালুনিয়ার পছন্দের বার্সেলোনা। কে জানে, আবার হয়তো নতুন কোনও রেকর্ড, কোনও নতুন অধ্যায়...।
ফ্ল্যাশব্যাক
১৯৫৯-’৬০: ইউরোপিয়ান কাপে পু্সকাস ও দি’স্তেফানো জুটির দাপটে দু’পর্বে ৬-২ জিতে ফাইনালে ওঠে রিয়াল।
১৯৯৩-’৯৪: রোমারিওর হ্যাটট্রিক। বার্সা জেতে ৫-০।
১৯৯৪-’৯৫: হারের প্রতিশোধ নিয়ে ৫-০ জেতে রিয়াল।
২০০৬-’০৭: মেসির হ্যাটট্রিক বাঁচায় বার্সাকে। স্কোর ৩-৩।
কী কী দেখা যেতে পারে
সুয়ারেজের প্রথম ক্লাসিকো গোল?
বার্সা কেরিয়ারের শুরুতে ফর্ম না পেলেও গত কয়েক ম্যাচে গোলের ছন্দে সুয়ারেজ। রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্স ভেঙে তিনি কি পাবেন নিজের প্রথম ক্লাসিকো গোল?
রোনাল্ডোই ভরসা
পেলের মতে তিনি এখন ক্লাসিকোর শ্রেষ্ঠ আকর্ষণ। কথাই আছে ‘ফর্ম ইজ টেম্পোরারি বাট ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট’। লা লিগায় নিয়মিত গোলের মধ্যে না থাকলেও খারাপ ফর্মের রোনাল্ডোও ম্যাচের ছবি পাল্টাতে পারেন।
নজরে এক নম্বর
লা লিগা টেবিলে মাত্র এক পয়েন্টের তফাত এই দুই দলের। রিয়াল জিতলে যাবে এক-এ। আবার বার্সেলোনা জিতলে দখলে রাখবে শীর্ষস্থান।
রক্ষাকর্তা ইস্কো
হামেস রদ্রিগেজের চোট। গ্যারেথ বেল খারাপ ফর্মে। জটিল পরিস্থিতিতেও রিয়ালের এখন অন্যতম ভরসা ইস্কো। ঠিকানা লেখা পাস দেওয়া ছাড়াও গোলের চোখও আছে।
লক্ষ্য ৩৩
বত্রিশটা হ্যাটট্রিক করে লিওনেল মেসি এই মরসুমে গড়েছেন নতুন নজির। কিন্তু সমর্থকরা চাইবেন তেত্রিশ নম্বরটা যেন আগামী রবিবার দেখা যায়।
চমকাবেন ওয়ান্ডার কিড
মেসি তো আছেনই। সঙ্গে এই মরসুমে গোল করার দায়িত্বটা ভাগ করে নিয়েছেন নেইমারও। ব্রাজিলীয় মহাতারকার গতি ও স্কিল সামলানো অন্যতম চ্যালেঞ্জ হবে রিয়াল রক্ষণের।
আন্সেলোত্তির অগ্নিপরীক্ষা
প্রথম মরসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলেও আন্সেলোত্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা। চাকরি বাঁচানোর শর্ত একটাই— এল ক্লাসিকো থেকে তিন পয়েন্ট।
৩-২-৩-২ বনাম ৪-৩-৩
এক দিকে এনরিকের পাঁচ ফরোয়ার্ড ও তিন ডিফেন্ডার। যে ফর্মেশনে বার্সার পাসিং খেলা ছন্দে আছে। আর এক দিকে আন্সেলোত্তির পছন্দের ৪-৩-৩। যার সাহায্যে প্রতিআক্রমণ করা সুবিধা হয় রোনাল্ডো, বেলের মতো দ্রুতগতির ফুটবলারদের।