গত জানুয়ারি মাসে বেজির গলায় শিকল পরিয়ে নেটমাধ্যমে ছবি পোস্ট করার পর থেকেই বিপাকে শ্রাবন্তী। লাগাতার বন দফতরের জেরায় পড়তে হচ্ছে তাঁকে। গত সোমবার ও মঙ্গলবারও তাঁকে অরণ্য ভবনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
বেজির গলায় শিকল পরিয়ে ছবি তোলার ঘটনায় আইনি জালে জড়িয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ওই ঘটনায় গ্রেফতার হলেন এক গাড়ি চালক। বুধবার ওই গাড়ি চালককে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নেপালগঞ্জে ওই গাড়ি চালকের বাড়ি থেকে ওই বেজিটিকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
বন্যপ্রাণ বিরোধী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ শাখার তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই গাড়ি চালকের নাম ভরত হাতি। শ্রাবন্তী বর্তমানে যে প্রযোজনা সংস্থার হয়ে কাজ করছেন, ভরত ওই সংস্থায় কর্মরত। শ্রাবন্তীকে জেরার পরেই তাঁর সম্পর্কে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। শ্রাবন্তীই বন দফতরকে জানিয়েছেন, বেজিটি ওই গাড়ি চালকের থেকেই পেয়েছিলেন তিনি।
এর পরেই তদন্তে নামে বন দফতর। মঙ্গলবারের পর বুধবারও জেরার পর ভরতকে গ্রেফতার করে বন্যপ্রাণ বিরোধী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ শাখা।পাশাপাশিই, নেপালগঞ্জে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে ওই বেজিটি। জানা গিয়েছে, বহু দিন ধরেই বেজিটিকে পোষ্য হিসেবে নিজের বাড়িতে রেখেছিলেন ভরত।
গত জানুয়ারি মাসে বেজির গলায় শিকল পরিয়ে নেটমাধ্যমে ছবি পোস্ট করার পর থেকেই বিপাকে শ্রাবন্তী। লাগাতার বন দফতরের জেরায় পড়তে হচ্ছে তাঁকে। গত সোমবার ও মঙ্গলবারও তাঁকে অরণ্য ভবনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দফতর সূত্রে প্রাপ্ত খবর, শ্রাবন্তী না বুঝেই ব্যাপারটি ঘটিয়ে ফেলেছেন। বেআইনি ভাবে তিনি কোনও বন্যপ্রাণী বাড়িতে লুকিয়ে রাখেননি বা পুষছেন না। শ্যুটিংয়ের জন্যই গলায় শিকল জড়ানো বেজি তাঁর হাতে পৌঁছোয়। ছোট্টখাট্টো প্রাণীটিকে তাঁর ভীষণ ভাল লেগে যায়। তিনি বেজির সঙ্গে ছবি তুলে ভাগ করে নেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বেজিটি কী ভাবে শ্রাবন্তীর হাতে এল, তার তদন্তে নেমেই গাড়ি চালক ভরতকে গ্রেফতার করল বন দফতর।