দাদাগিরি

সেরা ৫ ‘দাদা মোমেন্টস’ বাছলেন কোচ ও সতীর্থরা। অংশুমান গায়কোয়াড়। ভেঙ্কটেশ প্রসাদ। বিনোদ কাম্বলি। শুনলেন সায়ন আচার্য। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৮৩। আমার কাছে এখনও অবিশ্বাস্য । নাইরোবিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৬ ০৬:০৩
Share:

অংশুমান গায়কোয়াড়

Advertisement

১৯৯৯ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৮৩। আমার কাছে এখনও অবিশ্বাস্য ।

নাইরোবিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি।

Advertisement

ওই কঠিন সময়েও ২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অধিনায়কত্ব।

দলে নবীন-প্রবীণের সমান গুরুত্ব। জুনিয়রদের বুঝতে না দেওয়া যে টিমে সচিন তেন্ডুলকর বা অনিল কুম্বলের মতো দিকপাল সিনিয়রদের বিচরণ।

নাছোড় মনোভাব। সৌরভের একটা আলাদা মডেল ছিল-নেভার সে ডাই। সেটাই পরবর্তী কালে ভোল পাল্টে দেয় ভারতীয় ক্রিকেটের।

ভেঙ্কটেশ প্রসাদ

সৌরভের আবেগ দেখেছিলাম ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনালে। লর্ডসের বারান্দায় জামা ঘুরিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে বুঝিয়েছিল-আমাদের সঙ্গে চ্যালে়ঞ্জ নিতে এসো না।

আলাপের বহু আগে থেকেই শুনেছিলাম যে ক্রিকেট মহলে ওর ব্যঙ্গাত্মক নাম প্রিন্স। ১৯৯৬-েত সৌরভ যখন প্রথম টেস্টে শতরান করল, আমরা অবাক হয়ে দেখলাম ওর ব্যাটিং ক্যারিশমা। বুঝলাম, সৌরভ সত্যিই ক্রিকেটের প্রিন্স।

২০০০ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-তে ওর অধিনায়কত্ব ভবিষ্যতের ক্রিকেটারদেরও মোটিভেট করেছিল।

২০০১-য়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় আনঅফিশিয়াল টেস্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিল সৌরভ। ক্রিকেট বিশ্ব তখন মাইক ডেনিসের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফুঁসছে, এমন সময় সৌরভ এরকমই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

সৌরভ চিরকালই নতুনদের হয়ে লড়াই করে গেছে। সেটাই ওর ইউএসপি। ওর মতো ক্যাপ্টেন আমি খুব বেশি দেখিনি।

বিনোদ কাম্বলি

প্রথম দেখা ১৯৮৮-র অনূর্ধ্ব ১৯ ইংল্যান্ড সফরে। আমরা তখন ১৬ কিংবা ১৭। সেই সফরে ওর কভার ড্রাইভ দেখে আমি আর সচিন মুগ্ধ হয়েছিলাম। মনে আছে, একদিন ওকে বলেছিলাম: “এই যে ভাই, একটু স্ট্রেট ড্রাইভ খেলে দেখা তো।”

সালটা মনে নেই, তবে সৌরভ তখনও জাতীয় দলের সদস্য নয়। একটা ঘরোয়া ম্যাচে কোনও এক স্পিনারকে যে ভাবে পরপর স্টেপ আউট করে ছয় মেরেছিল, আই ওয়াজ ইমপ্রেস্ড।

১৯৯৬য়ে ওর ডেবিউ সেঞ্চুরিটা আজও আমার কাছে স্পেশাল।

চাপের মুখে নতি স্বীকার না করা বরাবরই ওর ইউএসপি।

অধিনায়ক হিসেবে আমার কাছে সৌরভ কিন্তু এক-য়ে নয়। ধোনিও না। ওই জায়গাটা আজহারউদ্দিনের। সৌরভ দু’য়ে। আর ধোনি তিন-এ। আজহারউদ্দিন অমর হলে, সৌরভ আকবর, ধোনি অ্যান্টনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement