Indian Railways

ভারতীয় রেলের প্রযুক্তিতে গতি আনতে ম‌উ স্বাক্ষর মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে

গতিশক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি রেল মন্ত্রকের আর্থিক সহায়তায় চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রেল, তথ্য ও সম্প্রচার, ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:২০
Share:

সংগৃহীত চিত্র।

ভারতীয় রেলের ইঞ্জিনিয়ারদের উন্নত মানের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার ব্যবস্থা করতে এ বার ম‌উ স্বাক্ষর হল গতিশক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের। চুক্তির মূল উদ্দেশ্য মোনাশ ইনস্টিটিউট অফ রেলওয়ে টেকনোলজির মাধ্যমে রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর যৌথ গবেষণা। সঙ্গে থাকবে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।

Advertisement

দিল্লিতে অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনে ম‌উ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ছিলেন মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মনোজ চৌধুরী এবং সহ-উপাচার্য ক্রেগ জেফরি। আর দিল্লির তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন মিনিস্টার (কমার্শিয়াল) এবং হেড অফ অস্ট্রেক্ট সাউথ এশিয়া, মনিকা কেনেডি।

যৌথ ভাবে দুই পক্ষ রেলের উন্নতি, বিশেষত প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে গবেষণা চালাবে। তার জন্য উন্নত মানের গবেষণাগার তৈরি হবে। যেখান থেকে পরবর্তীকালে শিল্প ভাবনার‌ও বাস্তবায়ন হবে। তাতে পূর্ণ সাহায্য করবে দুই দেশের সরকার। যৌথ শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণের উপরে বিশেষ যোর দেওয়া হবে।

Advertisement

অধ্যাপক ক্রেগ জেফরি বলেন, “মোনাশ ইউনিভার্সিটি ট্রান্সপোর্টেশন এবং লজিস্টিক সেক্টরে ভারতের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। গতিশক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করে আমরা আনন্দিত। আমাদের মূল উদ্দেশ্য উৎপাদনশীলতা এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য ক্রমাগত প্রযুক্তির বিকাশ ঘটানো। রেলওয়ে প্রযুক্তি সমস্যাগুলি সমাধানের ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত নাম। এই ম‌উ স্বাক্ষরে‌র ফলে দুই দেশের সম্পর্কের আর‌ও উন্নতি ঘটবে।”

গতিশক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি রেল মন্ত্রকের আর্থিক সহায়তায় চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রেল, তথ্য ও সম্প্রচার, ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

মউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মনোজ চৌধুরী বলেন, “জিএসভি হল একটি শিল্পচালিত এবং উদ্ভাবন নেতৃত্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয়, যা পরিবহণ এবং লজিস্টিক সেক্টরের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নকে উল্লেখযোগ্য ভাবে প্রভাবিত করে চলেছে। এই যৌথ গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ আগামী দিনে ভারতে রেলশিল্পকে আর‌ও এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

অধ্যাপক চৌধুরী আর‌ও জানান, এটিই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়, যা রেলপথ, বিমান চলাচল, শিপিং, বন্দর, জাতীয় সড়ক, জলপথ ইত্যাদি সংক্রান্ত সমস্ত ধরনের কাজে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। বর্তমান সমাজের কথা মাথায় রেখে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও তার অবদান অনস্বীকার্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement