কখনও হুমকি, কখনও ব্যঙ্গ! কখনও তাচ্ছিল্য, কখনও ভুল স্বীকার! সব ক্ষেত্রেই এক অনন্য বাচনভঙ্গি নিয়ে বঙ্গ রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে, বীরভূমে বসেই, বিচরণ করেন অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার রাতে তাঁর গতিবিধির উপর নজরদারি চাপিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কেষ্টকে কতটা থামানো যাবে? এটা চাক্ষুস করতে শনিবার সকাল থেকেই তাঁর বাড়ির সামনে ঝাঁকে ঝাঁকে ক্যামেরা। তা ছাড়াও দরজার বাইরে অপেক্ষায় আছেন কমিশনের নিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেট, কেন্দ্রীয় বাহিনীর আট জওয়ান আর এক ভিডিওগ্রাফার। বাড়ি থেকে বেরোলেই এই ত্রিভূজ নজরদারি ঘিরে থাকবে অনুব্রতকে।
তিনি বেরোলেন কয়েক ঘণ্টা সবাইকে দাঁড় করিয়ে রাখার পর। চুপচাপ নয় একেবারেই। বরং ডোন্ট কেয়ার ভঙ্গিতে সাংবাদিকদের করা প্রথম প্রশ্ন থেকেই রীতিমতো অ্যাটাকিং। দিনভর এভাবেই চলল। বোলপুর থেকে নানুর; লাভপুর, ময়ূরেশ্বর, তারাপীঠ, থেকে রামপুরহাট; তারপর মহম্দবাজার, দুবরাজপুর, সিউড়ি, ইলমবাজার হয়ে আবার বোলপুর। সঙ্গে সঙ্গে চললেন কমিশন নিযুক্ত নজরদারেরা। অনুব্রত চলতে থাকলেন এবং বলতেও থাকলেন। সেই সব বক্তব্যেরই কিছু বাছাই করা অংশ:
‘‘আমি এখন পার্টি অফিসে-পার্টি অফিসে ঘুরব। জেলার ১১টা পার্টি অফিসেই যাব। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাক না সঙ্গে। কোনও সমস্যা নেই। আমি কি কোনও অন্যায় কাজ করছি?’’
‘‘ভোট করতে কোনও অসুবিধা হবে না। ভোট বাড়বে, কমবে না।’’
‘‘বুথে বুথে গুড় বাতাসা মজুত থাকছে। যখন যাকে প্রয়োজন হবে দেব। মিডিয়াকেও গুড় বাতাসা দেব।’’
‘‘আমাকে জব্দ করার ক্ষমতা কার আছে? ভোট করার জন্য কর্মীরা রেডি।’’
‘‘ভোট মানেই উত্সব। সন্ধের পর ঢাক বাজবে।’’
মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন!!!
আরও পড়ুন, হৃদয়ে ভরসা নেই, সারাক্ষণ পিছু নিল কেষ্টদা’র নজরদার