পরাজিত টলিউড তারকা। —ফাইল চিত্র।
নিজের বৃত্তে কমবেশি প্রায় সকলেই জনপ্রিয়। তবে রবিবার ভোটগণনার দিন যেন বাস্তবের কঠোর জমিতে আছড়ে পড়লেন টলিউডের বহু তারকা। নিজের বৃত্তের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে পারলেন না টলিউডের বহু তারকাই। লাল, সবুজ বা গেরুয়া— শিবিরের রং যা-ই হোক না কেন, ভোটবাক্সে নিজেদের জনপ্রিয়তার প্রতিফলন ঘটাতে পারেননি তাঁরা।
তারকা প্রার্থীদের হারের তালিকাটা কম দীর্ঘ নয়। পায়েল সরকার, রুদ্রনীল ঘোষ, অঞ্জনা বসু, সায়নী ঘোষ, পার্নো মিত্র, দেবদূত ঘোষ, তনুশ্রী চক্রবর্তী, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পাপিয়া অধিকারী বা যশ দাশগুপ্ত— তালিকায় রয়েছে সব শিবিরের তারকা প্রার্থীরই নাম। অথচ রুপোলি পর্দা ছেড়ে রাজনীতির জগতে পা রাখতেই পেয়ে গিয়েছিলেন নীলবাড়ির লড়াইয়ের টিকিট। তা নিয়ে জেলা বা স্থানীয় স্তরে কর্মী-সমর্থকদের ক্ষোভের মুখেও পড়েছেন সংশ্লিষ্ট দলীয় নেতৃত্ব। তবে সে বাধা সত্ত্বেও প্রচারের কাজে কোমর বেঁধে নেমে পড়া তারকা প্রার্থীদের মাঠে-ময়দানে দেখা গিয়েছে। যেখানে গিয়েছেন, তারকা ইমেজের টানে ভিড়ও টেনেছেন। তবে সে ভিড়ের হাত পৌঁছয়নি ভোটবাক্স পর্যন্ত। ফলে রাজ্যে ফের শাসকদলের সবুজ ঝড় উঠলেও তৃণমূলের পতাকার তলায় জয়ীর তালিকায় দেখা যায়নি কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে। কৃষ্ণনগর (উত্তর) বিধানসভা আসনে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের কাছে হেরে গিয়েছেন তিনি। কৌশানী একা নন, তারকা প্রার্থীদের হারের তালিকায় রয়েছেন গেরুয়া শিবিরের হয়ে দাঁড়ানো রুদ্রনীল, পায়েল, অঞ্জনা, পার্নো মিত্র, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পাপিয়া এবং যশ। হারের তালিকায় রয়েছেন দেবদূতের মতো সংযুক্ত মোর্চার তারকা প্রার্থীরাও। ভোটপ্রচারে তাঁদের যাবতীয় চেষ্টাই জলে গিয়েছে।