আবেদনপত্র জমা দেওয়ার ভিড় ভোটকর্মীদের। নিজস্ব চিত্র।
এক দিকে যখন ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে, তখন অন্য দিকে ভোটের কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন বাড়ছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। জেলা নির্বাচন দফর সুত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের প্রশিক্ষণের চিঠি বিলি শুরু হতেই কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করতে শুরু করেছেন অনেকেই। প্রতি দিন ২৫০-৩০০ জন করে আবেদন জমা দিচ্ছেন। সোমবারও জেলাশাসকের দফতরে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার জন্য ভিড় করেছিলেন অনেক ভোটকর্মী।
ভোটকর্মীরা জানাচ্ছেন, নির্দিষ্ট কারণ দেখিয়েই তাঁরা আবেদন করছেন। মহিলা ভোটকর্মীদের কেউ কারণ হিসেবে জানিয়েছেন বাড়িতে তাঁর ছোট সন্তান রয়েছে। কেউ আবার প্রসূতি, এমনটাও আবেদনে জানিয়েছেন। অন্য দিকে, পুরুষ ভোটকর্মীদের অনেকেই আবার শারীরিক সমস্যাকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে আবেদন করছেন।
আবেদন করলেই কি সকলকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে? এ প্রসঙ্গে জেলা নির্বাচন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আবেদন করলেই যে অব্যাহতি মিলবে এমনটা নয়। কী কারণে আবেদন করা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হবে। যাঁদের শারীরিক সমস্যা রয়েছে বলে আবেদন করেছেন তাদের মেডিক্যাল বোর্ডে পাঠানো হবে।
যে কোন দিনই ঘোষণা হতে পারে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। তার আগেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে জেলায় জেলায়। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ বাকি জেলাগুলোতেও ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ শিবির চলছে। শনিবার থেকে এই জেলায় শুরু হয়েছে পুরুষ ভোটারদের প্রশিক্ষণ। সোমবারও প্রশিক্ষণ শিবির হয়েছে। মহিলা ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। পরবর্তী পর্যায়ে ভোট যন্ত্র দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জেলা নির্বাচন দফতর সূত্রে খবর।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় করোনা পরিস্থিতির কারণে বুথের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৯৮টি। তার মধ্যে মহিলা বুথের সংখ্যা ৮৪৯টি। স্বাভাবিক ভাবেই ভোটকর্মীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রায় ২৭ হাজার ভোট কর্মী প্রয়োজন। তার মধ্যে মহিলা ভোট কর্মী ৫ হাজার ৩২১ জন এবং পুরুষ ভোট কর্মী ২২ হাজার ৮৩৬ জন।