প্রতীকী ছবি।
ধিক্কার মিছিলের সময় আচমকাই বিজেপি পার্টি অফিসে ঢুকে ভোট প্রার্থনা করলেন শীতলখুচির তৃণমূলের প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায়। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কোলাকুলিও করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে কোচবিহারের শীতলখুচি বিধানসভার বড় কৈমারি অঞ্চলের নগর ডাকালিগঞ্জ বাজারে ধিক্কার মিছিল ও ভোট প্রচার করেন পার্থ। সেই সময়ই ওই ঘটনা ঘটে। তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিজেপির দাবি, পার্টি অফিসের ভিতরে ঢুকে ভোট চাওয়া ঠিক নয়। বিজেপির সর্বভারতীয় তপসিলি মোর্চার সহ-সভাপতি তথা শীতলখুচির নেতা হেমচন্দ্র বর্মণ বলেন, “তৃণমূল প্রার্থী বুঝে গিয়েছেন, তাঁর পক্ষে আর জেতা সম্ভব নয়। তাই এমন করেছেন। মানুষকে দেখানোটাই এই ঘটনার মূল উদ্দেশ্য।” পার্থপ্রতিম বলেন, “সকলেই আমার ভোটার। ভোটপ্রার্থী হিসেবে মানুষের কাছে আবেদন করেছি। বিজেপি পার্টি অফিসে থাকা কর্মীদের কাছেও করেছি। তাঁরা নমস্কার জানিয়েছেন। আলিঙ্গন করেছেন। আমিও করেছি।”
ওই ঘটনার পরে বিজেপি ও তৃণমূল দুই তরফেই গুঞ্জন শুরু হয়। তৃণমূলের একটি অংশ প্রশ্ন তোলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে হামলার ঘটনার বিরোধিতা করে ধিক্কার মিছিলের সময়ে বিজেপি পার্টি অফিসে ঢুকে ভোট চাওয়া কতটা ঠিক? অন্য একটি অংশ মনে করছে, ভোট চাইতে সবার কাছেই যাওয়া যেতে পারে। তাতে জয়ের রাস্তা সহজ হয়। ওই পার্টি অফিসে থাকা বিজেপি কর্মীদের মুখে অবশ্য সে সময় শোনা যায়, ‘‘গণতন্ত্রে এমনই হওয়া কাম্য। যে যেখানে ভোট দেওয়ার দেবেন।”
পরে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব যদিও বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষই করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, সুযোগ পেলেই তৃণমূল সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে। শীতলখুচিতেই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা, বাড়ি ভাঙচুরের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি’র কোচবিহার জেলার সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “যা কিছুই করুক না কেন, তৃণমূলের পক্ষে ওই আসন জেতা সম্ভব নয়।”
গত লোকসভা ভোটে কোচবিহার জেলায় যে দু’টি আসনে এগিয়ে ছিল তৃণমূল, শীতলখুচি তার অন্যতম। সেখানে বারোশোর কিছু বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। এ বারে এই কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায়ক হিতেন বর্মণকে টিকিট না দিয়ে প্রার্থী করা হয়েছে দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়কে। দলীয় সূত্রে খবর, তা নিয়ে দলের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এই অবস্থায় জোর ভোট প্রচার শুরু করেছে পার্থপ্রতিম। তাঁর দাবি, “কোনও বিরোধ নেই। আমরা সবাই মিলেই প্রচার করছি।”