প্রতীকী ছবি।
হুইল চেয়ারে বসেই কোচবিহারে প্রচারে আসতে পারেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১০ এপ্রিল রাজ্যের অন্যান্য অংশের সঙ্গে কোচবিহার ও আলিরপুরদুয়ারে ভোট গ্রহণ। তাই হাতে বিশেষ সময় নেই। দলীয় সূত্রে খবর, দু’টি বিধানসভা নিয়ে একটি করে সভা করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। সে ক্ষেত্রে ৯টি বিধানসভার জন্য চারটি সভা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। কোচবিহার শহর বাদেও দিনহাটা, মাথাভাঙা, মেখলিগঞ্জ এবং তুফানগঞ্জে দলনেত্রীর একটি করে সভা করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন দলীয় নেতাদের বড় অংশ। তার আগে বিধানসভা ধরে ধরে একটি করে সভা করার কথা রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। চলতি মাসের শেষের দিকে ওই সভাগুলি শুরু হতে পারে। দলের রাজ্য সহ-সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “সময় মতো সমস্ত কর্মসূচি জানিয়ে দেওয়া হবে।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “যতটুকু জানতে পেরেছি, এপ্রিল মাসের গোড়ায় দলনেত্রী প্রচারে আসবেন।”
পায়ে চোট পাওয়ার পরে জখম অবস্থায় এই ক’দিন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মমতা। এ দিন তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রশ্ন উঠেছে, পায়ে প্লাস্টার নিয়ে তিনি এত দূরে সভা করতে আসবেন কি? বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত দলের কর্মীদের একাংশও। তাঁদের কথায়, নেত্রীকে সামনে রেখেই ভোট-যুদ্ধে নেমেছেন তাঁরা। এই অবস্থায় তাঁকে কিছুটা না পেলে কর্মীদের অনেকেরই মনোবলে ধাক্কা লাগতে পারে।
দলের নেতারা মনে করছে, এই মুহূর্তে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও বেশ কয়েক দিন বিশ্রামে থাকতে হবে। হাঁটাচলা করার মতো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে তাঁর অনেকটা সময় লাগবে। নেত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি আপাতত হুইলচেয়ারেই প্রচার করবেন। তবে এখনও যে হেতু হাতে কয়েক দিন সময় আছে, তাই তার মধ্যে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলেও আশা করছেন দলের অনেকে।
কোচবিহারে এ বারের ভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। জেলার ৯টি বিধানসভা আসনেই বিজেপির সংগঠন আগের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। সে ক্ষেত্রে কেউই এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয়। ইতিমধ্যেই বিজেপি তাদের শীর্ষ নেতাদের প্রচারে আনছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের মুখেও বিজেপির এক ঝাঁক কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতা প্রচার করবেন কোচবিহারে। তাই তাঁদের মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোচবিহার আসা জরুরি, বলছেন দলের নেতা-কর্মীরা। সেভাবেই তৈরি করা হচ্ছে কর্মসূচি, জানিয়েছেন দলের জেলা নেতৃত্ব।