প্রতীকী ছবি।
বিধানসভা ভোটে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আরও কয়েক জন দলীয় নেতার সঙ্গে তাঁকে নিয়েও জল্পনা ছিল। কিন্তু বেলডাঙা পুরসভার প্রশাসক ভরত ঝাওয়ারকে তৃণমূল এ বার টিকিট দেয়নি। ‘হতাশ’ ভরত এ বার ‘বেসুরে’ বাজতে শুরু করেছেন।
দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর ‘ক্ষোভ’ চেপে রেখেছিলেন। এ বার প্রকাশ্যেই এ নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন ভরত। রাজনীতির কারবারিদের একাংশের জল্পনা, এ বার হয় তো তিনিও গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন।
স্থানীয় তৃণমূল সূত্রে খবর, বিধানসভা নির্বাচনে বেলডাঙা আসনে দলীয় প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন ভরত। তাঁর ইচ্ছের কথা তিনি তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বকে জানিয়ে ছিলেন বলেও খবর। কিন্তু তাতে লাভ কিছু হয়নি। বেলডাঙা বিধানসভায় এ বার দল প্রার্থী করেছে কালীগঞ্জের বিদায়ী বিধায়ক হাসানুজ্জামানকে। তারপর থেকেই ভরতকে নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার দলের একটি প্রতিবাদ মিছিলে তিনি যোগ দেননি। তাতে জল্পনা আরও বেড়েছে। তার আগে তিনদিন ভরত কলকাতায় ছিলেন। তৃণমূলের একটি অংশের দাবি, তিনি গোপনে নাকি ‘যোগাযোগ রাখছেন’ বিজেপির শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে।
বৃহস্পতিবার বেলডাঙা-১ ব্লক জুড়ে তিনটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়েছিল। বেলডাঙা উত্তর, দক্ষিণ ও শহর তৃণমূলের। বেলডাঙা উত্তর ও দক্ষিণের মিছিলে প্রচুর কর্মী-সমর্থক উপস্থিত হলেও বেলডাঙা শহর তৃণমূলের মিছিলে উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো কম। মিছিলে পুরপ্রশাসক কিংবা তাঁর অনুগামীরা কেউ-ই ছিলেন না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে ভরত যদিও বলেন, “আমি কলকাতা গিয়েছিলাম স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য। এ ছাড়া, অন্য কারণ খোঁজার কারণ নেই।” তবে তৃণমূলের প্রার্থী নিয়ে যে তিনি সন্তুষ্ট নন, সেটাও
বলতে ছাড়েননি। ভরত বলেন, “বেলডাঙা আসনে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে যোগ্যতা, পারদর্শিতা অগ্রাধিকার পায়নি। রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু হয় না। বেলডাঙার উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে যাবে, এটা চাইব না। বেলডাঙার মানুষের জন্য কাজ করে যাব। আগামী দিনে কোনও সিদ্ধান্ত নিলে জানাব।” দলের কর্মসূচিতে তাঁর ‘অনুপস্থিতি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘পুর প্রশাসকের কাজ করে যতটুকু সময় পাব, সেই সময় দলের কাজই করব।’’