বৃহস্পতিবার রুটমার্চ হল মেদিনীপুর শহরেও। ছিলেন পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার। নিজস্ব চিত্র।
গড়বেতা: সন্ত্রাসের চেনা ছবি উঁকি দিচ্ছে গড়বেতায়। মনোনয়ন পর্বের পর প্রার্থীদের প্রচার শুরু হতেই সন্ত্রাসের অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। সন্ত্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের অভয় দিতে পথে নেমেছেন বিডিও, পুলিশ। রুটমার্চ শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা।
ভোট এলেই গড়বেতায় সন্ত্রাসের অভিযোগ সেই বাম আমল থেকেই হয়ে আসছে। এ বার ভোট ঘোষণার পর থেকে সে রকম বড় অভিযোগ না উঠলেও, মনোনয়ন পর্বের পরে প্রার্থীদের প্রচার শুরু হতেই সন্ত্রাস নিয়ে সরগরম হতে শুরু করেছে গড়বেতা। বুধবারই খড়কুশমায় প্রচার মিছিল করতে গিয়ে বাধা পান বলে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানান সিপিএম প্রার্থী তপন ঘোষ। বোমাবাজি করে তাঁদের কর্মীদের মারধর করা হয় বলেও তাঁর অভিযোগ। পাল্টা অভিযোগে তৃণমূল বলেছে সিপিএমের কর্মীরাই তৃণমূল অফিসে ঢুকে চেয়ার, জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। দলের কর্মীদের উপর তৃণমূল চড়াও হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে বিডিও অফিসে অবস্থান বিক্ষোভ করেন বিজেপি প্রার্থী মদন রুইদাস। অভিযোগ, উড়িয়ে তৃণমূল বলছে, বিজেপি-সিপিএম যৌথভাবে তৃণমূল কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে।
অবস্থা সামলাতে পথে নেমেছে প্রশাসন। বুধবারই গড়বেতা ১ বিডিও তথা ব্লকের সহ রিটার্নিং অফিসার (এআরও) শেখ ওয়াসিম রেজা ও যুগ্ম বিডিও শিলাদিত্য জানা পুলিশিকে নিয়ে গড়বেতার বিভিন্ন বুথ এলাকা ঘোরেন। সঙ্গে ছিলেন গড়বেতা থানার ওসি দেবাশিস দাস। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। গড়বেতায় ভোটের জন্য আপাতত এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। পরে আরও এক কোম্পানি আসার কথা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা গড়বেতার বিভিন্ন অঞ্চলে রুটমার্চ করতে শুরু করেছেন। বুধবার খড়কুশমার ঘটনার পর বৃহস্পতিবারও ওই এলাকায় পুলিশের সাথে টহল দেন জওয়ানেরা। বিডিও শেখ ওয়াসিম রেজা বলেন, ‘‘পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী-সহ ব্লক প্রশাসনের প্রতিনিধিরা রোজই মে ঘুরছেন, রুটমার্চও চলছে।’’