মঙ্গলবার হাওড়ায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
সাম্প্রদায়িকতার চেয়ে আঞ্চলিকতাবাদ অনেক বেশি ক্ষতিকর, এমনটাই বললেন নব্য বিজেপি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিজেপি-র হয়ে ডোমজুড় থেকে মনোনয়ন জমা দেন রাজীব। সেখানেই ‘বহিরাগত’ তত্ত্ব নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। নীলবাড়ির লড়াইয়ে রাজ্যে প্রচারে আসা বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে যে ভাবে লাগাতার ‘বহিরাগত’ বলে কটাক্ষ করে আসছে তৃণমূল, তার তীব্র সামলোচনা করেন। প্রশ্ন তোলেন, বিজেপি থেকে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া যশবন্ত সিন্হা এবং কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি-কেও তৃণমূল নেতৃত্ব ‘বহিরাগত’ মনে করেন কি না।
জেলাশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দিয়ে বেরিয়ে রাজীব বলেন, ‘‘বিজেপি নেতাদের বহিরাগত বলছে তৃণমূল। তা হলে জানতে হয়, যশবন্ত সিন্হা এবং অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এ রাজ্যের বাসিন্দা নাকি বহিরাগত! সাম্প্রদায়িকতার চেয়ে এই ধরনের আঞ্চলিকতাবাদ অনেক বেশি ক্ষতিকর।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আঞ্চলিকতাবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন।’’
মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় ভোটের প্রচারে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নির্বাচন কমিশনকে নিয়ন্ত্রণ করছেন বলেই কার্যত অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তা নিয়েও মুখ খোলেন রাজীব। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সব কিছুতেই চক্রান্ত দেখেন। নন্দীগ্রামে দুর্ঘটনার পিছনেও চক্রান্তের গন্ধ পেয়েছিলেন। আসলে তৃণমূলের পালে হাওয়া নেই বুঝে গিয়েছেন। তাই চক্রান্তের অজুহাত দিচ্ছেন।’’
তবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণে শান দিলেও, প্রার্থিতালিকা নিয়ে বিজেপি কর্মীদের ক্ষোভ-কে গুরুত্ব দিতে চাননি রাজীব। তাঁর যুক্তি, ‘‘কর্মীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ থাকতেই পারে। তাই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এক কেন্দ্রে একের বেশি দাবিদার থাকায় প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় এমন ঘটছে। তবে এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে আগামী দিনে বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসছে।’’ বিজেপি-র মতো তৃণমূলেও টিকিট নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।