Chatradhar Mahato

Bengal Poll: ১২ বছর পরে ভোট দিয়ে অসুস্থ মাকে দেখতে গেলেন ছত্রধর মাহাতো

২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে জেল থেকেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন ছত্রধর। কিন্তু জেলে থাকায় নিজে ভোট দিতে পারেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২১ ১১:৫৭
Share:

ছত্রধর মাহাতো।

ঠিক একযুগ পরে ভোট দিলেন তিনি। বাম জমানায় জঙ্গলমহলের ‘সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটি’-র নেতা ছত্রধর মাহাতো শনিবার ঝাড়গ্রাম বিধানসভার অন্তর্গত বীরকাঁড় গ্রামের বুথে স্ত্রী নিয়তি এবং ছেলে ধৃতিপ্রসাদকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দেন। তৃণমূল নেতা ছত্রধর সকাল ৯টায় ভোটের লাইনে দাঁড়ান। ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি।

Advertisement

২০০৯-এর লোকসভা ভোটের পরে ফের বুথমুখী হলেন। তিনি বলেন, ‘‘এক সময় যে দল করতাম, সে দল কিছু করতে পারেনি। এখন যে দলে আছি, সেই দল করেছে অনেক কিছু। সেই দলই ক্ষমতায় আসবে আশা রাখি। ২০০৯ সালে লোকসভায় শেষ বার ভোট দিয়েছিলাম। আবার ভোট দিতে পেরে ভালো লাগল।’’

২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে জেল থেকেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন ছত্রধর। জিততে না পারলেও ২০ হাজারেরও বেশি ভোট পান। কিন্তু জেলে থাকায় নিজে ভোট দিতে পারেননি।

Advertisement

২০০৯ সালে লালগড়ে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কনভয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল মাওবাদীরা। তাতে জড়ায় ছত্রধরের নাম। পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড মিলিয়ে ২৩টি মামলায় অভিযুক্ত হন। ২০০৯-এ গ্রেফতার হওয়ার পর বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) যাবজ্জীবন হয়। পরে সাজা কমে হয় ১০ বছর। ২০২০-তে মুক্তি পেয়ে ‘সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটি’-র আহ্বায়ক ছত্রধর পরে তৃণমূলে যোগ দেন।

কিন্তু রাজনীতিতে যোগদানের পরে ছত্রধরের বিরুদ্ধে ১১ বছরের পুjনো দু’টি মামলার পুনর্তদন্ত চেয়া হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় এনআইএ। তার পর থেকে একাধিক বার জেরা করা হয় তাঁকে। শুক্রবারও এনআইএ জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হয়েছিলেন ছত্রধর-সহ ৫ জন। রাত ৮টায় বাড়ি ফেরেন তিনি। এরপর তৃণমূল প্রার্থী বীরবাহার সাথে বলেন। ৩টি বুথে কর্মীদের সঙ্গে দেখাও করেন।

ভোটের দিন অবশ্য তেমন ব্যস্ততা নেই ছত্রধরের। মা বেদনাবালা অসুস্থ হাসপাতালে ভর্তি। ভোট দিয়েই তাঁকে গেলেন একদা জঙ্গলমঙ্গলের দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement