শাহের ঝাড়গ্রামের সভা বাতিল। —ফাইল চিত্র।
সশরীরে নয়, ঝাড়গ্রামের সভায় মোবাইলে অমিত শাহের বক্তৃতা শোনানো হল। কপ্টারে যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে শেষ মুহূর্তে সভায় যাওয়া বাতিল করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তবে তৃণমূলের দাবি সভায় লোক না হওয়াতেই সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কপ্টারে চেপে অমিত সরাসরি রানিবাঁধের সভাতে যাবেন বলে জানিয়েছে বিজেপি।
সোমবার ঝাড়গ্রামের জামদা সার্কাস ময়দানে শাহের সভা হবে বলে আগে থেকেই ঠিক ছিল। তার জন্য রবিবার রাতেই খড়্গপুর পৌঁছে যান শাহ। সন্ধ্যায় সেখানকার বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়-কে নিয়ে পথসভাও করেন। সোমবার সকালে প্রথমে জামদা এবং সেখান থেকে পরে রানিবাঁধের সভায় যাওয়ার কথা ছিল তাঁর।
কিন্তু জামদার ওই সভা ঘিরে সোমবার সকাল থেকেই নানা ঝামেলা দেখা দেয়। সভাস্থলে দলের কর্মী এবং সমর্থকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন জামদার বিজেপি প্রার্থী সুখময় শতপথি। তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। তার পরেই জানা যায়, শাহের সভায় আসা অনিশ্চিত।
সোমবার বেলা ১১টায় সভা হওয়ার কথা থাকলেও, সকাল সকাল সার্কাস ময়দানে পৌঁছে যান সুখময়। জামদা সার্কাস ময়দান বড় হলেও সভার জন্য মাঠটি ছোট করে ঘেরা হয়েছিল। কিছু চেয়ার আনা হয়েছিল বসার জন্য। কিছু অংশ ফাঁকা রাখা হয়েছিল যাতে লোক দাঁড়াতে পারেন। কিন্তু বেলা বাড়লেও যথেষ্ট সংখ্যক সমর্থক সভাস্থলে এসে জড়ো না হওয়ায়, টনক নড়ে তাঁদের। অভিযোগ ওঠে, সভাস্থলে ঢোকার মুখে সুরক্ষা ব্যবস্থা সঠিক রাখার নামে বাধা দেওয়া হচ্ছে অনেককে। জলের বোতল নিয়েও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সভাস্থল থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অতটা রাস্তা হেঁটে আসতে সমস্যায় পড়ছেন অনেকে।
অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মঞ্চ থেকে নেমে সহযোগীদের নিজেই সভার প্রবেশদ্বারের দিকে এগিয়ে যান সুখময়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এর পর মাইকে সুখময় ঘোষণা করতে শুরু করেন যে, ইচ্ছে করে বিজেপি সমর্থকদের সভায় ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গোলমালের খবর শাহের কানেও পৌঁছেছে। তাই খড়্গপুরের লজ থেকে বার হননি তিনি। সব কিছু মিটলে কপ্টারে চেপে সভাস্থলে যাবেন।
গোলমালের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেও, এ রাজ্যে বিজেপি-র পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানান, শাহের কপ্টারে কিছু যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিয়েছে। সড়ক পথে সভাস্থলে তাঁকে আনা যায় কি না দেখা হচ্ছে। তার জন্যই সভায় দেরি হচ্ছে। তবে এর পরেই বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়ে দেন, সশরীরে সভায় আসছেন না শাহ। ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তৃতা করবেন।