প্রতীকী চিত্র। ফাইল চিত্র
ব্লক কংগ্রেসের সমর্থনে সুতিতে নির্দল প্রার্থী হচ্ছেন সদ্য দলত্যাগী তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য মইদুল ইসলাম। দল ফের বিধায়ক হুমায়ুন রেজাকে সুতিতে প্রার্থী ঘোষণা করায় ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আলফাজুদ্দিন বিশ্বাসের নেতৃত্বে গোটা কংগ্রেস দলই বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে সুতিতে। অন্যদিকে তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য মইদুল ইসলামের নেতৃত্বে সেখানে ইমানি বিশ্বাসকে তৃণমূল ফের প্রার্থী করায় ক্ষোভে দল ছেড়েছেন বহু তৃণমূল কর্মী ও নেতা। দুই দলের বিক্ষুব্ধরা এক জোট হয়ে শুক্রবার সুতি কেন্দ্রে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছেন মইদুল ইসলামকে। সরাসরি তাদের সমর্থনের কথা না জানালেও সিপিএমের বিরাট অংশের কর্মী ও সমর্থকেরা যে মইদুলকেই সমর্থন করবে সে দাবিও জানিয়েছেন তারা।
ইতিমধ্যেই সুতিতে জল্পনা শুরু হয়েছে তৃণমূল প্রার্থী ইমানি বিশ্বাসকে নিয়ে। দলেরই মন্ত্রী জাকির হোসেনের উপর হামলার ঘটনায় এনআইএ তাকে তলব করায় রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। আশঙ্কা এর প্রভাব পড়তে পারে সুতির ভোটেও। দলীয় প্রার্থী দলেরই মন্ত্রীর উপর হামলার ঘটনায় এনআইএ’র তদন্তের জালে এসে পড়ায় সেখানে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে যে অশ্বস্তি এড়াতে সুতিতে প্রার্থী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে ইমানিকে।
কংগ্রেস ও তৃণমূল দুই দলেরই প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে সুতিতে ক্ষোভে ফুঁসছেন দলের কর্মী, সমর্থকেরা। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ, মিছিল করে দুই দলই তাদের প্রার্থী বদলানোর দাবি নিয়ে সরব হন। সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে কংগ্রেসের মধ্যে। ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার বিকেলে বাজিতপুর, লক্ষ্মীপুর, মহেশাইল ১ ও ২ , জগতাই ১ ও ২ সহ ১০টি অঞ্চলে সভাপতিদের নেতৃত্বে সভা করে ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আলফাজুদ্দিন বিশ্বাসের উপর তারা নির্দল প্রার্থী বাছাইয়ের ভার ছেড়ে দেন।
শুক্রবার ব্লক সভাপতি আলফাজুদ্দিন বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, "কোনও অবস্থাতেই অকর্মণ্য দলীয় বিধায়ককে এবারে আর দলের প্রার্থী মানা সম্ভব নয়। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সুতিতে ব্লক কংগ্রেস সহ সমস্ত কংগ্রেস কর্মীরা মইদুল ইসলামকে প্রার্থী করার।”
জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ মইদুল ইসলাম বলেন, “আমি সুতিতে নির্দল হিসেবে দাঁড়াচ্ছি। সুতির ব্লক কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা পাশে আছেন।বাম ভোটের একটি বড় অংশের সমর্থনও পাব বলে আশা করছি। কারণ জোটের প্রার্থী বামেদেরও পছন্দ নয় সুতিতে। তৃণমূল যদি সুতিতে প্রার্থী পরিবর্তন করে তবে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথা ভাবা যেতে পারে।”
সুতির বিদায়ী কংগ্রেস বিধায়ক তথা এবারের প্রার্থী হুমায়ুন রেজা অবশ্য দলীয় কর্মীদের এই ক্ষোভ বিক্ষোভকে সেভাবে গুরুত্ব দিতে চাননি। তিনি বলেন, “এই বিরোধ সাময়িক। দু দিন যাক সব মিটে যাবে। সবাই মেনে নেবে আমাকে। ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমেছি আমি।”