লাভলি মৈত্র
শ্যুটিং ফ্লোরের সংলাপ আর অভিনয়ের জীবন ছেড়ে নিজের রাজ্য আর তার মানুষকে চেনার এমন সুযোগ আর পাব না। ভাল একটা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলাম। মানুষের কাছে গিয়েছি। মানুষ সাড়া দিয়েছেন। ভেবেছিলাম, সবাই বোধহয় অভিনেত্রী লাভলি মৈত্রকে দেখতে আসছেন। পরে মনে হচ্ছিল, ওঁরা আমায় প্রার্থী হিসেবেও ভরসা করছেন। যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী আমায় ভরসা করে প্রার্থী মনোনীত করেছিলেন। যদিও নির্বাচনের দিন ২-১টি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে সেই ভরসা ভাঙার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। স্থানীয়রাই সুন্দর করে সে সব ঝামেলা মিটিয়ে নিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত দিদির মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি। স্থানীয় দলীয় কর্মীদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি। এই জয়ের ফলে আমার এলাকার সব মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
সকালে ৭টার মধ্যে বেরিয়ে পড়তাম বাড়ি থেকে। টানা ২-৩ ঘণ্টা প্রচার চালিয়ে তার পরে দলের মিটিং। সেই পর্ব মিটলে দুপুরের খাওয়াদাওয়া সেরে ২টো থেকে আবার প্রচারে। সব সেরে বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত ১১টা। একদম অন্য জীবন। ‘মোহর’ দেখারও সুযোগ পাইনি। খাওয়াও বদলে গিয়েছিল। প্রচুর জল খেতাম। ব্যাগে থাকত সাধারণ কয়েকটা ফল। সুযোগ পেলেই তা দিয়ে পেট ভরাতাম। প্রচারের জন্য আলমারিতে থাকা প্রচুর শাড়ি পরা হয়েছে এ বার। তবে এলাকার মানুষের ইচ্ছাপূরণ আমার প্রধান কাজ হিসেবে ভেবেছি। পাশাপাশি, গর্বের সঙ্গে এটাও বলতে চাই, আগের বিধায়ক এলাকার কোনও কাজ বাকি রাখেননি। তাই সোনারপুরে যখন পা রেখেছি, দেখেছি এলাকার মানুষ ভীষণ সুখী। শাসকদলের প্রতি প্রচণ্ড খুশি। তাঁদের কোনও অভাব-অভিযোগ নেই। এবং সেটা স্বতঃস্ফূর্ত।
আমি মহিলাদের নিরাপত্তার দিকে নজর দিয়েছিলাম। এই বিষয়টা সোনারপুরের ক্ষেত্রে জরুরি। যেমন জরুরি সব রকম সুবিধে প্রদানকারী হাসপাতাল। যাতে সোনারপুরের মানুষদের চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে না হয়। তবে মনে হয়েছে, শিক্ষার দিক থেকে সোনারপুর (দক্ষিণ) তুলনামূলক ভাবে অন্যান্য অঞ্চলের থেকে অনেকটাই এগিয়ে।