সুজিত বসু। বিধাননগর বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী। নির্বাচন কমিশনের কাছে তিনি যে হলফনামা জমা দিয়েছেন সে অনুযায়ী কয়েক কোটি টাকার মালিক সস্ত্রীক সুজিত।
সুজিতের হাতে নগদ রয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ১২ টাকা। তাঁর স্ত্রী স্বর্ণালীর হাতে নগদ রয়েছে ১ লাখ ৪৯ টাকা।
এসবিআই, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ায় স্থায়ী আমানত এবং সেভিংস অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে মোট ৫১ লাখ ৮২ হাজার ১৩২ টাকা রয়েছে তাঁর। স্ত্রীর নামে ব্যাঙ্কে রয়েছে ৬ লাখ ৮২ হাজার ৩৫১ টাকা।
শেয়ার বাজারে সুজিতের বিনিয়োগ ১ লাখ ৭২ হাজার ৯২৫ টাকা এবং তাঁর স্ত্রীর বিনিয়োগ ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৭০ টাকা।
সুজিতের জীবনবিমা রয়েছে ৫ লাখ ১১ হাজার ৭৮৯ টাকার। তাঁর স্ত্রীর ডাকঘরে সঞ্চয় ২ লাখ ৪ হাজার ৮০৬ টাকা। সঙ্গে একটি জীবনবিমাও রয়েছে।
বিভিন্ন সংস্থা এবং ব্যক্তিকে কয়েক লাখ টাকা ধার দিয়েছেন সুজিত। সব মিলিয়ে যার পরিমাণ ৪৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮২ টাকা।
সুজিত এবং তাঁর স্ত্রীর মোট ৩টি গাড়ি রয়েছে। সুজিতের রয়েছে টয়োটা ইনোভা এবং একটি স্করপিও। ২০১৪ সালে প্রথম গাড়িটি ১৩ লাখ ৮৫ হাজার ৭০০ টাকায় কিনেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় গাড়িটি ২০১৯ সালে ১৫ লাখ ৩ হাজার ১১১ টাকায় কেনেন। তাঁর স্ত্রীর রয়ছে একটি টাটা সাফারি। ২০১০ সালে যেটি ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৫১ টাকায় কিনেছিলেন।
সুজিতের কাছে সোনা রয়েছে প্রায় ১৮০ গ্রাম। হিরে রয়েছে প্রায় ৫০০ গ্রাম। সোনা, হিরে এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিস মিলিয়ে মোট ৮ লাখ ৪ হাজার ১৪ টাকার সম্পত্তি রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে স্ত্রীর প্রায় ৫০০ গ্রাম সোনার গয়না এবং ৫০০ গ্রাম হিরের গয়না রয়েছে। যার মূল্য ২১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৬৩ টাকা।
সুজিতের অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৪১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৬৫ টাকা এবং স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৬০ লাখ ৬৩ হাজার ২৫৬ টাকা।
তাঁদের নামে স্থাবর সম্পত্তি কী কী নথিভুক্ত রয়েছে? লেক টাউনে একটি ৩০০ বর্গ ফুটের দোকান রয়েছে। ২০০১ সালে সেটি ৩ লাখ টাকায় কিনেছিলেন সুজিত। এখন তার মূল্য ১৫ লাখ টাকা।
শ্রীভূমি ক্যানাল স্ট্রিটে তাঁর দু’টি ফ্ল্যাট রয়েছে। সেই দু’টির দাম এখন মোট ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে যশোর রোডে দু’টি, ক্যানাল স্ট্রিটে একটি এবং সল্টলেক ব্লক-বিসি তে একটি জমি। সব মিলিযে যার মূল্য ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।
অর্থাৎ স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে সুজিতের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি ৭৭ লাখ ৪৪ হাজার ৭৬৫ টাকা এবং তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ ৩ কোটি ৮০ লাখ ৬৩ হাজার ২৫৬ টাকা।
ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া এবং অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের কাছে মোট ৭১ লাখ ২৪ হাজার ৯২১ টাকার ঋণ রয়েছে সুজিতের। সুজিতের স্ত্রীর ঋণ রয়েছে মোট ৮৯ লাখ ৮৪ হাজার ১৭৭ টাকার।