প্রতীকী ছবি।
প্রত্যেক ইচ্ছুক ভোটকর্মীকে প্রতিষেধক দিয়ে ভোটের কাজে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেই মতো ভোটকর্মীদের প্রতিষেধক দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে রাজ্য। কিন্তু ভোটের আগে প্রত্যেককে প্রতিষেধকের দু’টি ডোজ় দেওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরে। অন্য দিকে, কোভিড আবহে ভোট-প্রস্তুতির চূড়ান্ত করণীয় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরকে বুঝিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
শুক্রবার ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ২৭ মার্চ রাজ্যে হবে প্রথম দফার ভোট। শেষ তথা অষ্টম দফার ভোট হবে ২৯ এপ্রিল। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক কর্তারা বলছেন, প্রতিষেধকের দু’টি ডোজ়ের মধ্যে ২৮ দিনের ব্যবধান রাখতে হয়। ফলে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে যে ভোটকর্মীরা প্রতিষেধক পেতে শুরু করেছেন, তাঁদের চার সপ্তাহের ব্যবধানে দু’টি ডোজ় নিয়ে ফেলা সম্ভব। প্রশাসনিক সূত্র মনে করছে, ৬ মার্চের মধ্যে সবাইকে প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় দেওয়ার কাজ শেষ করা গেলে বেশির ভাগ ভোটকর্মীকে দু’টি ডোজ় দিয়ে ভোটের কাজে পাঠানো যাবে। সূত্রের দাবি, এই পরিস্থিতিতে একেক দিনে যত বেশি সম্ভব মানুষকে প্রতিষেধক দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তিদের প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ফলে বিপুল সংখ্যায় ভোটকর্মী এবং পঞ্চাশোর্ধ মানুষদের একসঙ্গে প্রতিষেধকদানের কর্মসূচি সামলাতে স্বাস্থ্যকর্মীদের বেশ বেগ পেতে হবে বলেই মনে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এ বারের ভোটে ভোটকেন্দ্র বেশি থাকার কারণে প্রায় সাড়ে ছ’লক্ষ ভোটকর্মী (রিজ়ার্ভ ধরে) কাজ করবেন। ফলে সকলে প্রতিষেধক নিতে চাইলে সময় লাগবে অনেক বেশি। যদিও এই প্রতিষেধক নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। কেউ না চাইলে প্রতিষেধক নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টকে জোর করতে পারে না প্রশাসন।
গত জানুয়ারি মাসে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে এসে কোভিড বিধি অনুযায়ী ভোট ব্যবস্থাপনার উপর বাড়তি জোর দিয়েছিল। সেই মতো নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট সময় অন্তর এই দিক থেকে রাজ্যের অগ্রগতির পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জানছে। এর আগে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গেও আলাদা করে বৈঠক করেছিলেন কমিশন-কর্তারা। সূত্রের খবর, সেই সব নির্দেশ এবং ব্যবস্থাপনার অঙ্গ হিসেবে চূড়ান্ত একটি কোভিড বিধি সিইও দফতরে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই ‘এসওপি’ অনুযায়ী ভোট ব্যবস্থাপনায় নজর দিতে হবে সিইও কার্যালয়কে।
এ বার ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে, শারীরিক ভাবে অক্ষম এবং কোভিড উপসর্গ বা রোগীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোটগ্রহণ হবে। যাঁরা সম্মতি দেবেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই এই বিশেষ ব্যবস্থা রাখবে কমিশন। এ বার মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় সর্বাধিক দুজনকে নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের অফিসে ঢুকতে পারবেন প্রার্থী। আগে এই সংখ্যা ছিল চার। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় বহু গাড়ির কনভয় নিয়েও যেতে পারবেন না প্রার্থী। রিটার্নিং অফিসারের অফিসের দুশো মিটারের মধ্যে সর্বাধিক দুটি গাড়ি ঢুকতে পারবে। অনলাইনে মনোনয়ন জমা করা যাবে। তবে তার প্রতিলিপি-সহ নথি কিছুদিনের মধ্যে নিজে গিয়ে রিটার্নিং অফিসারকে দিতে হবে প্রার্থীকে।