ক্ষোভের মুখে প্রার্থী। নিজস্ব চিত্র।
পছন্দের প্রার্থী না-পেয়ে সিপিএমের কর্মীদের একাংশ বৃহস্পতিবার বিকালে নাকাশিপাড়ার বেথুয়াডহরি হাসপাতাল-লাগোয়া সিপিএম কার্যালয়ের সামনে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখালেন। পরে তাঁদের দাবি বিবেচিত হবে বলে দলের তরফে প্রতিশ্রুতি মেলায় বিক্ষোভ থামে।
এ দিন নাকাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের ঘোষিত জোট-প্রার্থী সিপিএমের শুক্লা সাহা চক্রবর্তীকে সামনে পেয়ে তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগানও দেন সিপিএমের ক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকেরা। দাবি করেন, গত বিধানসভার মনোনিত প্রার্থী তন্ময় গঙ্গোপাধ্যায়কে এ বারও প্রার্থী হিসাবে চান তাঁরা।
দলীয় সূত্রের খবর, নাকাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের ঘোষিত জোট-প্রার্থী সিপিএমের শুক্লা সাহা চক্রবর্তী মহিলা সমিতির নাকাশিপাড়া উত্তর আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদিকা তথা মহিলা সমতির জেলা কমিটির সদস্য ও সিপিএমের নাকাশিপাড়া উত্তরের আঞ্চলিক কমিটির সদস্য। তিনি গত পঞ্চায়েত ভোটে জেলাপরিষদের প্রার্থীও ছিলেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ‘‘শুক্লা সাহা চক্রবর্তীর এলাকায় ভাল পরিচিতি নেই। দলের অনেক কর্মীও তাঁকে ভাল করে চেনেন না। ওই প্রার্থীকে ভোটে দাঁড় করিয়ে দল ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’ তাঁদের আশঙ্কা, ওই প্রার্থীকে নিয়ে লড়াই করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। চার বারের বিধায়ক তৃণমূলের কল্লোল খাঁ-কে পরাজিত করার জন্য হেভিওয়েট প্রার্থী চাই। তাঁদের দাবি, তন্ময়বাবুকে প্রার্থী করতে হবে।
বিক্ষোভকারীদের ব্যাখ্যা, গত বিধানসভা ভোটে তন্ময়বাবু কল্লোল খাঁর থেকে মাত্র ৬২৫০ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন। এ ছাড়়া, তন্ময়বাবু ভাল সংগঠক। তাঁদের ক্ষোভ, গত বিধানসভা থেকে টানা পাঁচ বছর মাটি কামড়ে পড়়ে ছিলেন কর্মীরা। তার পরেও জলের ভুল সিদ্ধান্তের ফল ভুগতে হবে তাঁদের এবং দলকেও। অনেকে এমনও দাবি করেন যে তন্ময়বাবু প্রার্থী না হলে তাঁরা সিপিএমকে ভোট দেবেন না।
তন্ময়বাবুর কথায়, ‘‘আমার কাছে এ ব্যাপারে কোনও খবর নেই। তবে কয়েক জনের ফোন পেয়েছি। এটা আমাদের পার্টির গাইডলাইনের মধ্যে পড়ে না। আমাদের রাজ্য তথা জেলা কমিটি যা সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই মেনে নেওয়া হয়। আমি কর্মী মহলে বলছি, পার্টি যাকে প্রার্থী করছে তার হয়েই খাটেতে হবে। আমার পক্ষে যেটুকু করা দরকার আমি অবশ্যই করব।’’
প্রচারে নামার বিষয় তিনি বলেন, ‘‘অবশ্যই প্রচারে নামবো। এটা সাময়িক বিক্ষোভ। ঠিক হয়ে যাবে। কর্মীরাও নামবেন।’’ প্রার্থী শুক্লা সাহা চক্রবর্তী এই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। আর সিপিএমের নদিয়া জেলার সম্পাদক সুমিত দে বলেছেন, ‘‘দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত মনেই সকলকে কাজ করতে হবে। এটাই আমাদের দলের নিয়ম।’’