BJP

বিজেপি আমাদের দেখে তারকাদের আনছে, বলছেন তৃণমূলে যোগ দেওয়া ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন সৌমিক

Advertisement

জাগৃক দে

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৫:৫০
Share:

সৌমিক দে নিজস্ব চিত্র

ফুটবল ছেড়ে এবার রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌমিক দে। সুত্রের খবর উত্তরপাড়া থেকে তৃণমূলের প্রার্থীও হতে পারেন তিনি। যদিও সৌমিক নিজে এ ব্যাপারে মাথা ঘামাতে রাজি নন। তাঁর একটাই লক্ষ্য, দলের সৈনিক হিসেবে কাজ করে যাওয়া।

Advertisement

গত বুধবার সাহাগঞ্জে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সভায় তৃণমূলে যোগ দেন প্রাক্তন এই ফুটবলার। আনন্দবাজার ডিজিটালকে ফোনে সৌমিক বলেন, ‘‘আমি জানি না প্রার্থী হব কি না। তবে দল যা বলবে সেই মতোই কাজ করে যাব। উত্তরপাড়া অঞ্চলের মানুষের পাশে থাকাই আমার মূল লক্ষ্য।’’ কেন তৃণমূলে যোগ দিলেন, তা নিয়ে প্রাক্তন রাইট ব্যাকের বক্তব্য, ‘‘২০১১ সালের পর থেকেই উন্নয়ন হয়েছে বাংলায়। সব সময়ই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের পাশে থেকেছে। কিছুদিন আগেই কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে গিয়েছিলাম আমরা। অসাধারণ স্টেডিয়াম তৈরি হয়েছে। সব কিছুই হচ্ছে দিদির আশীর্বাদে। তাই দিদির হাতকে আরও শক্ত করতেই তৃণমূলে যোগ দিলাম।’’

রাজনীতির ময়দানে নেমেও প্রতিপক্ষের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য শুনলে একবারও মনে হবে না এই ময়দানে তিনি নতুন। তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপিতেও একাধিক তারকা, খেলোয়াড়দের যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠতেই আক্রমণের মেজাজে সৌমিক বলেন, ‘‘২০১১ সাল থেকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষরা তৃণমূলে এসেছেন। এটা আমাদের দলে নতুন কিছু নয়। বরং বিজেপি, সিপিএম আমাদের দেখে নকল করতে চাইছে। অশোক ডিন্ডা, পায়েল সরকার যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। এভাবে কিছু হয় না। মানুষের জন্য কাজ করতে হয়।’’

Advertisement

২০১০ সালে ফেডারেশন কাপ ও কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়া ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক ছিলেন সৌমিক। দীর্ঘদিনের সতীর্থ রাজনীতিতে যোগ দিয়েছে শুনে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন আলভিটো ডি কুনহা। তিনি বলেন, ‘‘সত্যি খুব ভাল লাগছে ওর খবর পেয়ে। অনেকদিন দেখা হয়নি, কথাও হয়নি। আমার তরফ থেকে ওর জন্য অনেক শুভেচ্ছা। এর আগে রহিম নবি, দীপেন্দু বিশ্বাসরা রাজনীতিতে যোগ দিয়েছে। দীপেন্দুকে দেখি ও খুব কাজ করে নিজের এলাকার জন্য। আমি আশা করব সৌমিকও একইভাবে ওর এলাকার মানুষের জন্য কাজ করবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement