প্রতীকী চিত্র
অনেকেই আশা করেছিলেন এ বার তাঁদের ভাগ্যে ভোটের টিকিট জুটবে। কিন্তু শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা প্রকাশের পর থেকেই যেন ছবিটা বদলাতে শুরু করেছে দিকে দিকে। কেউ হতাশ হয়েছেন, কেউ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দলের বিরুদ্ধেই। আবার কেউ দল ছাড়ার কথাও ভাবতে শুরু করেছেন ইতিমধ্যেই। প্রার্থিতালিকা প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যেমন তৃণমূল ছাড়লেন দলের পশ্চিম বধর্মান জেলার সহ-সভাপতি তথা আসানসোল পুরনিগমের বিদায়ী মেয়র পারিষদ পূর্ণশশী রায়।
যদিও দল ছাড়ার কারণ হিসেবে পূর্ণশশী শারীরিক অসুস্থতাকেই তুলে ধরেছেন। বলেন, “শারীরিক ভাবে আমি অসুস্থ। দল করার মতো অবস্থাতে নেই। তাই ইস্তফা দিলাম।” পূর্ণশশী শারীরিক অসুস্থতাকে কারণ হিয়েবে দেখালেও গুঞ্জন শুরু হয়েছে, তাঁর এই সিদ্ধান্ত নাকি এ বারের ভোটে টিকিট না পাওয়ার জন্যই। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরই কেন দল ইস্তফা দিলেন, পশ্চিম বধর্মান জেলার সহ-সভাপতিকে এই প্রশ্ন করা হলে সুকৌশলেই তিনি উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন।
দল থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে অন্য দলে যেতে পারেন পূর্ণশশী। যদিও সেই জল্পনাকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন তিনি। পাল্টা বলেছেন, অন্য দলে যাওয়ার হলে প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গেই চলে যেতে পারতেন। তবে অন্য দলে যাওয়ার কোনও ইচ্ছা বলেই দাবি করেছেন তিনি।
জামুড়়িয়া বিধানসভার বাসিন্দা পূর্ণশশী। ওই কেন্দ্রে এ বার তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন হরেরাম সিংহ। এই প্রার্থী প্রসঙ্গে পূর্ণশশীকে জিজ্ঞাসা করা হলেও কোনও উত্তর দিতে চাননি। তবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা পরই তাঁর এই ইস্তফার সিদ্ধান্ত বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা মনে নিতে পারছেন বলেও জানিয়েছেন পূর্ণশশী। দল ছাড়ার পাশাপাশি আসানসোলের পুরনিগমের সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। যদিও আসানসোলের মেয়র অমর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমার হাতে এখনও ইস্তফাপত্র এসে পৌঁছয়নি। দেখছি ওঁকে কীভাবে বোঝানো যায়।”
খবর পেয়েই সদ্য বিজেপি-তে যাওয়া আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি পূর্ণশশীকে ফোন করেন। তাঁর খবর নেন। জিতেন্দ্র বলেন, “যাঁদের মান-সম্মান আছে, তাঁরা এই দলে থাকতে পারবে না। তাই শুরু হয়ে গেল খেলা।”